তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: বাসস
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: বাসস

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং এ বিষয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যেকোনো অপরাধী যাঁরা বিদেশে পালিয়ে আছেন, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা খাটানোর ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত তৎপর।

আইনমন্ত্রী আজ রোববার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৩৮তম বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, আপিলে থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলো দ্রুত কার্যতালিকায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। অনুষ্ঠানে বিচারকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তি করে সে বিষয়ে তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাঁদের ভালোভাবে বোঝাতে পারলে, তাঁরা এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেবেন এবং সেই চেষ্টা করবেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোতে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন সেসব দেশের আদালতগুলো এবং এই পরামর্শের কারণে সেখানে শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধ/ মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হয়। এভাবে তাদের জুডিশিয়ারির ওপর চাপ কমে আসছে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। কেবল আইনের শাসনই নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্র সুসংহতকরণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণেও জুডিশিয়ারি বিশেষ করে কোয়ালিটি জুডিশিয়ারির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই জনগণকে কোয়ালিটি জুডিশিয়ারি উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার বিচার বিভাগকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মামলাজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিচারপ্রার্থী জনগণের অল্প সময়ে, অল্প ব্যয়ে ও সহজে ন্যায় বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করণে আন্তরিকভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নিছক গতানুগতিক বা দায়সারা ভাব পরিহার করে কর্মক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
বিচারকদের বিন্দুমাত্র লোভ কিংবা অসততার কারণে বিচার বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে কোনো হতাশা বা বিরূপ ধারণার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিচারকদের পেশার গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবন করেই বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বিচার বিভাগের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের প্রশিক্ষণের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে ও নিবিড়ভাবে আত্মস্থ করার এবং রিসোর্স পারসনদের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাবতীয় আইনগত সমস্যার সমাধান খুঁজে নেওয়ার আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী।