শরীয়তপুরে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২

শরীয়তপুরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছে। সদর উপজেলার দক্ষিণ দেওভোগ গ্রামে গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুজন ডাকাত। তাঁদের নাম জাহাঙ্গীর আকন্দ (৪০) ও রাসেল ফকির (৩৪)। রাসেলের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার চাঁপাতলী গ্রামে। আর জাহাঙ্গীর শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ভোজেশ্বর এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে চারটি এবং ও রাসেলের বিরুদ্ধে ছয়টি ডাকাতির মামলা আছে।

গতকালের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা প্রসঙ্গে মনিরুজ্জামান বলেন, ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর ও রাসেলকে আটক করে। পরদিন তাঁদের শরীয়তপুর জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জেলা পুলিশ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর ও ডিবির পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম দুজনকে নিয়ে ঢাকা, বগুড়া এবং মাদারীপুরের কালকিনী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গত রাতে সদর উপজেলার দক্ষিণ দেওভোগ গ্রামে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে এই দুই ডাকাতের সহযোগীরা তাঁদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে তাদের সহযোগীদের কয়েকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ দুটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে। লাশ দুটি তারা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। তাঁরা হলেন কনস্টেবল রাসেল, মামুন ও উপপরিদর্শক সোহাগ মিয়া। তিনজনকে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার , তিনটি চায়নিজ কুড়াল , আটটি রামদা, ছোরা দুটি, ককটেল নয়টি এবং একটি তালা কাটার যন্ত্র পায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করবে বলেও জানান মনিরুজ্জামান।