পোশাক কারখানা ভাঙচুরে ৮ জন কারাগারে

আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজনে ভ্যানের পাশে স্বজনেরা। ছবি: দীপু মালাকার
আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজনে ভ্যানের পাশে স্বজনেরা। ছবি: দীপু মালাকার

সাভারের একটি তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার আটজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সাভার থানা-পুলিশ ওই আটজনকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজিএম) আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই আটজন হলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্যফ্রন্টের সভাপতি কবির খান মনির (৪৫), গার্মেন্টস শ্রমিক গৌর সুন্দর রায় (২৩), আবদুর রউফ (২৮), মশিউর রহমান (২০), নুর আলম (২০) , আবদুর রাজ্জাক (২০), জহুরুল ইসলাম (২০) ও বাবু শেখ (২৬)।

বেআইনিভাবে কারখানায় ঢুকে মারধর, চুরি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৬০ থেকে ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার জে কে গ্রুপের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) তারিক হাসান মাসুদ বাদী হয়ে সাভার থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৬ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ১২ জানুয়ারি দুপুর ২টার মধ্যে আসামিরা সরকার ঘোষিত পে-স্কেলের অতিরিক্ত মজুরি দাবি করে গার্মেন্টসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে কারখানায় হামলা চালায়। কারখানার দুজনকে মারধর করে আসামিরা। কারখানার ফিনিসগুড, মেশিনারিজ, আসবাবপত্রসহ প্রায় ১ কোটি টাকা ক্ষতি সাধন করে। গার্মেন্টসের বিভিন্ন ফ্লোরে থাকা তৈরি পোশাকসহ ২৬ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

গ্রেপ্তার আসামি গৌর সুন্দর রায়, আবদুর রউফ, মশিউর, নুর আলম, রাজ্জাক ও বাবু শেখ জে কে গার্মেন্টসের অপারেটর বলে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে উল্লেখ করা হয়। অপর আসামি কবির খানের পরিচয় উল্লেখ করা হয়, তিনি গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্যফ্রন্টের সভাপতি, আর জহুরুল ইসলাম আনলিমার প্যাকিং ম্যান।

রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, এই আটজনকে সাভার থানার সিরামিকসের মোড়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন, চোরাইমাল উদ্ধার, এজাহারে নাম থাকা আসামি এবং পলাতক অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক জাকারিয়া হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কারখানা ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
আসামি কবির খানের স্ত্রী নীলা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে পুলিশ তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।