কিশোরগঞ্জে শিক্ষক হত্যায় ৯ আসামির যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পিপলাকান্দি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সাহেদ আলী হত্যা মামলায় ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের আসামিদের উপস্থিতিতে এই দণ্ডাদেশ দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি সহিদ মিয়াকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন হোসেনপুর উপজেলার জিনারি ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের আমিনুল হক, রতন মিয়া, রিপন মিয়া, নূর উদ্দিন, দুলাল মিয়া, মো. মোস্তফা, আ. রাশিদ, আবু সাহিদ ও নূর উদ্দিন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল বিকেলে হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বীর হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক সাহেদ আলী রিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় একই এলাকার পিপলাকান্দি গ্রামে নূর উদ্দিনের বাড়ির সামনের রাস্তায় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান ওই আসামিরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সাহেদ আলী মাস্টারকে উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ২০ দিন পর (২৪ এপ্রিল) তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের ছেলে মো. ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে ২০০৪ সালের ৯ এপ্রিল ১০ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৭ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাহ আজিজুল হক ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোস্তাক হোসেন। আর আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অশোক সরকার।