প্রথম থেকেই কাদেরের মনে হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট টিকবে না

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের গড়ে তোলা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট টিকবে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ভোটের আগে গড়ে ওঠা এ জোটে নীতি ও আদর্শের ঘাটতি আছে। এ জোট যেভাবে গঠিত হয়েছে, এতে প্রথম থেকেই মনে হয়েছে, এ জোট টিকবে না।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় উদ্‌যাপন উপলক্ষে ‘বিজয় সমাবেশ’–এর প্রস্তুতি দেখতে আজ শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, রাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্যেই ভাঙার উপাদান ছিল। সেই ফ্রন্ট না টেকারই কথা। তা ছাড়া যেখানে বিএনপিতে ভাঙার সুর ধরেছে, সেখানে ঐক্যফ্রন্ট তো ভাঙবেই।

‘ভাঙার উপাদান’ কোনটি?

সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্য টেকসই হয় না।

গত বছরের অক্টোবরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়। এই জোটের মূল শরিক বিএনপি। জোটের নেতৃত্বে আছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে বিএনপির কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। এমনকি বিএনপির এই না আসা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রকে গুরুত্ব দিলে বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে নিজে থেকেই আসবে। জাতীয় নির্বাচনে যেমন তারা এসেছে, সেভাবেই আসবে। জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে ডেকে আনা হয়নি, উপজেলা নির্বাচনেও হবে না।

সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, যাঁরা যোগ্য, যাঁরা দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, তাঁদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তাই মনোনয়নপ্রত্যাশী নারীর সংখ্যা এবার অনেক বেড়েছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সঙ্গে ছিলেন।