বিএনপির নেতৃত্বে পরিবর্তন চান মোশাররফ-মওদুদ

খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ
খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ

বিএনপির নেতৃত্বে পরিবর্তন চেয়েছেন দলটির দুই জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ। জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দলের পুনর্গঠন ও পরিবর্তনের কথা বলেন তাঁরা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয় এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বাস্তবতায় কাউন্সিল ডেকে দলের নেতৃত্বে পুনর্গঠনের প্রস্তাব করেন এই দুই নেতা। স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘুরে দাঁড়াতে হলে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে। নেতা-কর্মীদের মামলা থেকে পরিত্রাণ ও জেল থেকে মুক্ত করাতে হবে এবং তাঁদের পুনর্বাসন করতে হবে। কাউন্সিলের মাধ্যমে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচনে পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের সামনে আনতে হবে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে তাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন উল্লেখ খন্দকার মোশাররফ বলেন বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর আমরা দলের কাউন্সিল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম এবং সারা দেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা সাহসের সাথে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। সেটার প্রমাণ হলো ৩০ তারিখে, সরকার ভোট করতে সাহস পেল না।

সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, এখন আমাদের দুটি কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি হলো পুনর্বাসন, আর অন্যটি পুনর্গঠন। ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার, লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে পুনর্বাসন করতে হবে। যারা দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের সামনে এনে পুনর্গঠন করতে হবে। দরকার হলে আমরা সামনে থেকে সরে যাব। তারপরও দলকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুনর্গঠন করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের যেসব নেতা-কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত, পঙ্গু, কারারুদ্ধ ও নির্যাতিত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানো কথা বলে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীকে কারাগার থেকে বের করে আনতে হবে। সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ চিরদিনের জন্য জনগণের মন থেকে দূরে চলে গেছে। পরাজয় আমাদের হয়নি, হয়েছে আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ সেই দল, যারা শুধু ক্ষমতায় থাকতে চায়। সংবিধান এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা ব্যবহার করছে নিজেদের স্বার্থে।

সভায় বক্তৃতা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আব্দুল মান্নান, শাজাহান ওমর, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযমসহ অন্যরা।