নোয়াখালীতে আবার গণধর্ষণের অভিযোগ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গণধর্ষণের সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে জেলার কবিরহাট উপজেলায় একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন এক নারী। তিন সন্তানের জননী এক নারী (২৯) পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, গতকাল শুক্রবার রাতে তিন ব্যক্তি তাঁর ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তিন সন্তানসহ তাঁকে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁরা পালিয়ে যান।

পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে জাকের হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।

ধর্ষণের অভিযোগ করা ওই নারীর তথ্যের বরাতে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মো. হাছান আজ শনিবার বেলা একটায় প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর ১২টার দিকে এক নারী থানায় এসে অভিযোগ করেন, গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে একই এলাকার জাকের হোসেনসহ তিন ব্যক্তি তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।

ওসি বলেন, ওই নারীর তথ্যমতে, তাঁর স্বামী একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন নোয়াখালী কারাগারে বন্দী। বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে ওই ব্যক্তিরা ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এর মধ্যে তিনি জাকের হোসেন নামের একজনকে চিনতে পেরেছেন। ধর্ষণের অভিযোগ করা নারীর স্বামী কোন মামলায় কারাগারে, তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি হাছান।

ওসি মির্জা হাছান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে জাকের হোসেনকে (২৮) আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ধর্ষণের অভিযোগ করা ওই নারীকে আজ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মির্জা হাছান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী রাতেই আশপাশের লোকজনকে ঘটনাটি জানান এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনের নাম বলেন। পরে তিনি নিজেই থানায় গিয়ে ঘটনার বর্ণনা করেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে সুবর্ণচরের এক নারীকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই দিন তাঁর স্বামী বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে এজাহারে নাম থাকা ছয়জন এবং বাকি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ছেড়ে যান ওই নারী।

ধর্ষণের শিকার সুবর্ণচরের ওই নারী অভিযোগ করেন, ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কারণে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ওই দিনই রাতে তাঁর স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়।

আরও পড়ুন