'একটু ধৈর্য ধরে চালালে ছেলেটা বাঁচত'

চট্টগ্রাম নগরে কাভার্ড ভ্যান চাপায় কলেজছাত্রী সোমা বড়ুয়া নিহত হওয়ার ঘটনার এক সপ্তাহও পার হয়নি। এর মধ্যেই আজ মঙ্গলবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক স্কুল ছাত্রের। তার নাম কাজী মাহমুদুর রহমান। সে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে সে দুর্ঘটনায় পড়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নগরের হালিশহরের গ্রিন ভিউ আবাসিক এলাকার বাসা থেকে টেম্পো করে সে স্কুলে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাকে বহনকারী টেম্পোটি দেওয়ানহাট ওভারপাস থেকে নামার মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনের সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। এতে টেম্পার সামনের আসনে বসা মাহমুদুর গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

ছেলের দুর্ঘটনায় পড়ার খবর শুনে হাসপাতালে আসেন বাবা কাজী আবদুর রহমান ও মা পলি বেগম। হাসপাতালে এসে ছেলের লাশ দেখে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবা আবদুর রহমান এক নাগাড়ে বলে যাচ্ছিলেন, ‘একটু ধৈর্য ধরে গাড়ি চালালে আমার ছেলেটা বাঁচত, আমি বাঁচতাম, আমার পরিবার বাঁচত। আমার সব শেষ হয়ে গেল।’

কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ তুমি গাড়ি চালকদের হেদায়েত কর। আমার মতো আর কোনো বুক যেন খালি না হয়।’

প্রিয় ছাত্রের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ভিড় করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলেটা খুবই ইনোসেন্ট ছিল। শান্ত স্বভাবের ছেলেটা এভাবে চলে যাবে মানতে পারছি না।’