বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে রেলসেতু হবে: রেলমন্ত্রী

নূরুল ইসলাম সুজন। ফাইল ছবি
নূরুল ইসলাম সুজন। ফাইল ছবি

রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরও একটি ডাবল লাইনের রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাপানের অর্থায়নে ওই সেতু নির্মিত হবে। এতে করে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ আরও সম্প্রসারিত হবে। তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পৃথক রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বয়স মাত্র আট বছর। ওই মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকার এরই মধ্যে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ভারতের সহযোগিতায় সৈয়দপুরে আরও একটি রেল কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে নতুন নতুন কোচ নির্মাণ করা হবে। ফলে, বিদেশ থেকে আমদানি–নির্ভরশীলতা কমবে।

রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, এর আগে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে রেলের ১০ হাজার লোক ছাঁটাই করা হয়েছে। নিয়মিত অবসর–প্রক্রিয়ার কারণে রেলের জনবল আরও কমছে। নতুন লোক নিয়োগের মাধ্যমে ওই সংকট দূর করা হবে। পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলওয়ে স্টেশন চালু করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি বেশি রেল চলাচলের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে, এর পাশেই একটি ডাবল লাইন রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। জাপান সরকারের অর্থায়নে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, জনগণের সেবার জন্য রেল। তাই বেশিসংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য বিদেশ থেকে আড়াই শ রেল কোচ আমদানি করা হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে রেলের ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস দেন।

এর আগে সকালে মন্ত্রী সৈয়দপুর রেল কারখানায় পৌঁছালে তাঁকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রেলওয়ে কারখানার ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. জয়দুল ইসলাম তাঁকে স্বাগত জানান। মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ অদম্য স্বাধীনতায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কারখানা প্রাঙ্গণে তিনি একটি আমগাছের চারা রোপণ করেন।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ আহসান আদেলুর রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. শামসুজ্জামান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাপরিচালক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম, পশ্চিম রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক বেলাল হোসেন সরকার, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন প্রমুখ। এরপর মন্ত্রী রেলওয়ে কারখানার সম্মেলন কক্ষে রেলওয়ে কর্মকর্তা ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।