উপজেলার তফসিল ঘোষণা ৩ ফেব্রুয়ারি, প্রথম ধাপে ভোট ৮ অথবা ৯ মার্চ

নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন

পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের তফসিল আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার মোট পাঁচ ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ভোট গ্রহণ হতে পারে আগামী ৮ অথবা ৯ মার্চ।

আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি আরও জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি কমিশনের বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হবে।

ইসির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ হবে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ এবং পঞ্চম ধাপে হবে রমজানের পরে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল বিএনপি বর্জন করেছে। উপজেলা নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। এ অবস্থায় ইসি কি একতরফা নির্বাচনের দিকে যাবে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, উপজেলার মেয়াদ মে মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। কে নির্বাচনে এল, আর কে এল না, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচন বিভাগ ওয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। মেয়াদ পরে উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে যেসব উপজেলার নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে না, সেগুলোর নির্বাচন পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।

ইসি সচিবালয় থেকে আরও জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য নির্বাচনের বিধিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে শুরুতে এই নির্বাচনে বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তাভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ইসি সেই চিন্তা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ, ইসির জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো হয়নি। সব কটি আসনেরই কম-বেশি কেন্দ্রে ইভিএম বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে ইসি উপজেলা নির্বাচনে শুধু জেলার সদর উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার করতে চায়।