৩৪ গাছি পেলেন শীতবস্ত্র, সন্তানেরা পেল স্কুলব্যাগ

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ৩৫ শিক্ষার্থীকে স্কুলব্যাগ ও ৩৪ জন গাছির (খেজুর গাছ থেকে গুড় সংগ্রাহক) হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ই-কমার্স পোর্টাল ‘কেনারহাট ডট কম’-এর উদ্যোগে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়। ২৩ জানুয়ারি, বুধবার, যশোর। ছবি: প্রথম আলো
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ৩৫ শিক্ষার্থীকে স্কুলব্যাগ ও ৩৪ জন গাছির (খেজুর গাছ থেকে গুড় সংগ্রাহক) হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ই-কমার্স পোর্টাল ‘কেনারহাট ডট কম’-এর উদ্যোগে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়। ২৩ জানুয়ারি, বুধবার, যশোর। ছবি: প্রথম আলো

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ৩৫ শিক্ষার্থীকে স্কুলব্যাগ ও ৩৪ জন গাছির (খেজুর গাছ থেকে গুড় সংগ্রাহক) হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ই-কমার্স পোর্টাল ‘কেনারহাট ডট কম’-এর উদ্যোগে আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার দরাজহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মিলনায়তনে গাছি ও গাছির সন্তানদের মাঝে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

কেনারহাটের মাধ্যমে সারা দেশে যশোরের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়-পাটালি বিক্রি করা হয়। গাছি ও গাছির সন্তানদের এগিয়ে নিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আয়োজকেরা বলছেন, এতে যশোরের জেলা প্রশাসন সহযোগিতা দিচ্ছে। অনুষ্ঠানে তিনজন গাছির তিন সন্তানের আজীবন লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কেনারহাটের উদ্যোক্তারা।

‘তারুণ্যের নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন’ স্লোগানে বুধবার বেলা ১১টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। কেনারহাটের উদ্যোক্তাদের একজন শফিউল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দরাজহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের আরেক উদ্যোক্তা নাহিদ ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল। তিনি বলেন, ভেজালের কারণে মানুষ যশোরের প্রসিদ্ধ খেজুরের গুড়-পাটালি খেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। নিবিড় তত্ত্বাবধানে ভেজালমুক্ত গুড়-পাটালি উৎপাদন করে সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার যে উদ্যোগ তরুণেরা নিয়েছেন, তা অব্যাহত রাখতে হবে। অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রেও ভেজালমুক্ত রাখার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

কেনারহাট ডট কমের আরেক উদ্যোক্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, যশোরের ভেজালমুক্ত বিখ্যাত খাদ্যদ্রব্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আয়ের একটি অংশ সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়ায় ব্যয় করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনজন গাছির তিন সন্তানের আজীবন লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।