পুলিশের ওপর হামলা মামলায় ছাত্রলীগ ৯ নেতা-কর্মী রিমান্ডে

মঙ্গলবার পল্টন থানায় আটক ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের গতকাল ঢাকার সিএমএম আদালতে নেওয়া হয়।  ছবি: প্রথম আলো
মঙ্গলবার পল্টন থানায় আটক ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের গতকাল ঢাকার সিএমএম আদালতে নেওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন ওরফে মিরনসহ নয়জন নেতা-কর্মীকে এক দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত মঙ্গলবার পল্টন থানায় দুটি মামলা হয়। এর একটি মামলায় ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পুরানা পল্টনের আজাদ সেন্টারের ১৮ তলায় বিশ্বাস ট্রেডার্স ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মীদের মারামারি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। পুলিশ দুই পক্ষের ১৬ জনকে আটক করে।

ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে করা পুলিশের মামলায় বলা হয়, পল্টন থানার এসআই কাজী আশরাফুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আজাদ সেন্টারের ১৮ তলায় গিয়ে দেখতে পান আসামিরা বিশ্বাস ট্রেডার্স ইন্টারন্যাশনালের চেয়ার–টেবিল, আসবাব ও কম্পিউটার ভাঙচুর করছেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করতে গেলে তাঁরা সরকারি কাজে বাধা দেন এবং পুলিশকে আক্রমণ করেন। তাঁরা পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করেন। আসামিরা পুলিশ সদস্যদের আটক করেন। একপর্যায়ে আটকে পড়া পুলিশ বেতারযন্ত্রে এ ঘটনা জানালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অতিরিক্ত পুলিশ এসে নাজমুলসহ এজাহারভুক্ত ৯ আসামিকে আটক করে এবং আহত দুই পুলিশ ও একজন আনসারকে উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পল্টন থানার ওসি মাহ্‌মুদুল হক বলেন, নাজমুল হোসাইন পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ওয়াহিদুল ইসলাম থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। বাকি সাতজন পল্টন থানা ছাত্রলীগের কর্মী।

এ ঘটনার পর বিশ্বাস ট্রেডার্স ইন্টারন্যাশনালের মালিক বি এম আসলাম হোসেনের নামে একটি প্রতারণার মামলা হয়।

মামলার বাদী আসলাম আহসান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি নিজেও ছাত্রলীগ করেন। সেই সুবাদে নাজমুলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাওনা টাকা উদ্ধারে গিয়েছিলেন। প্রতারক আসলাম হোসেন নিজেকে চেম্বার অব কমার্সের নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচয় দিতেন।