যশোরে সাংসদের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ১২ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা

যশোর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদের বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১২টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার মধ্যরাতের পর এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হননি, তবে এ ঘটনায় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা, আওয়ামী লীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকায় শনিবার রাত দেড়টার দিকে আ. লীগের সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদের বাসভবন লক্ষ্য করে তিনটি ককটেল ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়, একটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়। এরপর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান লাল, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ফয়সাল খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন শহরের গাড়িখানা রোডের হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনাল ও চাকলাদার ফিলিং স্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়।

ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, গত শুক্রবার রাতেও জেলা যুবলীগের সহসভাপতি সৈয়দ মুনির হোসেন টগরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার বাসভবন এবং যুবলীগের নেতা রাজিবুল আলমের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা একই কায়দায় কয়েকটি ককটেল বোমা ছুড়েছিল। সন্ত্রাসীরা রাজিবুলের বাড়িতে গুলিও করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক সমীর কুমার সরকার বলেন, শনিবার রাতে শহরের ছয়টি স্থানে ১২টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্রে বলছে, এটি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়। ব্যক্তিগত শক্তি প্রদর্শনের জন্য নিজেদের স্থাপনার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা জনগণ ও প্রশাসনকে অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।