নৌপরিবহনের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী নাজমুল ফের কারাগারে

ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হক। প্রথম আলো ফাইল ছবি
ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হক। প্রথম আলো ফাইল ছবি

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হকের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সূত্র জানায়, গত বছরের ১২ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি হোটেল থেকে ফাঁদ পেতে ঘুষের ৫ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয় এস এম নাজমুল হককে। ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় রাজধানীর শাহবাগ থানায়। এর পাঁচ মাস পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিনে বেরিয়ে আসেন নাজমুল হক। সেই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ১৬ অক্টোবর রিভিশন আবেদন করলে হাইকোর্ট ২২ অক্টোবর রুল জারি করেন। ১৫ জানুয়ারি ওই রিভিশনের ওপর জারি করা রুলের শুনানি শেষে রায় দেন আদালত। রায়ে নাজমুলের জামিন বাতিল করে এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

এরপর গত বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই দিন মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আমলে নেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। নাজমুল আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন জমা দেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে মামলাটি ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

অভিযোগ গঠনের শুনানির আগে আজ নাজমুল ওই আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুদক সূত্র জানায়, সৈয়দ শিপিং লাইনস নামের একটি শিপিং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে সব আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ফাঁদ পাতে দুদক। পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে সেগুন রেস্তোরাঁয় যাওয়ার কথা বলেছিলেন নাজমুল হক। সেখানে ওত পেতে ছিল দুদকের দলটি। ঘুষ নেওয়ার পরপরই দুদকের দলটি হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে নাজমুল হককে।
সৈয়দ শিপিং লাইনের জাহাজের রিসিভ নকশা অনুমোদন ও নতুন জাহাজের নামকরণের অনুমোদনের জন্য ১৫ লাখ টাকা ঘুষ চান নাজমুল। এর মধ্য থেকে পাঁচ লাখ টাকা আগেই নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় কিস্তির পাঁচ লাখ টাকা নিতে গিয়ে দুদকের ফাঁদে পড়েন তিনি।