আলোর পথে বন্ধুর হাত

অদম্য আলোর পথে যাত্রায় সহায়তার হাত ছিল প্রশস্ত। ২০ বছরের পথচলায় সেই বন্ধুর হাত কমেনি, বরং বেড়েছে। ভালোদের সঙ্গী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে আলোর পথে প্রথম আলোর যাত্রা প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে। পাঠকের মন জয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে সফল প্রথম আলো এখন আর শুধু একটি সংবাদপত্রই নয়; সামাজিক দায়িত্ব পালন আর জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রথম আলো এখন পাঠকের কাছে সংবাদপত্রের চেয়েও বেশি কিছু। প্রথম আলোর বন্ধু-সহযোগীদের কণ্ঠেও এই একই সুর। তাঁদের ভাষায়, প্রথম আলোর মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কাছে তাঁরা সহযোগিতা পৌঁছাতে পারছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীতে সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রীতি সম্মিলনের আয়োজন করে প্রথম আলো। সামাজিক দায়িত্ব পালন আর জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতার জন্য প্রথম আলো ধন্যবাদ জানায় সেই সব প্রতিষ্ঠানকে। ‘ভালোর সাথে আলোর পথে’ প্রথম আলোর স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত প্রীতি সম্মিলনে ভবিষ্যতে এ সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করে দুই পক্ষই।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা, দেশের সাহায্য সংস্থা, দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় প্রথম আলোর পাশে থেকেছে। প্রথম আলো তার এই বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাতে এই আয়োজন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনাদের অব্যাহত সহযোগিতা চাই। আমরা ভালো বন্ধু।’ এ সময় তিনি প্রথম আলোর বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে তাদের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেন।

প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বাগত বক্তব্যে প্রথম আলোর চলার পথে গুরুত্বপূর্ণ এই কাজগুলোতে সহায়তা করার জন্য দেশি-বিদেশি সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রথম আলো শুধু সংবাদ পরিবেশন করে না, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সচেতনতামূলক কাজে অংশ নেয়। সামাজিক দায়িত্ব পালনে প্রথম আলো সংবাদপত্রের চেয়েও বেশি কিছু। তিনি বলেন, এই সহযোগিতা ‘ভালোর সাথে আলোর পথে’ প্রথম আলোর যাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ভূমিকা রাখার জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান এইচএসবিসি ব্যাংকের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান। ছবি: প্রথম আলো
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ভূমিকা রাখার জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান এইচএসবিসি ব্যাংকের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান। ছবি: প্রথম আলো

আয়োজনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপো, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবুল কাশেম মো. শিরিন, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মাসরুর আরেফিন, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক এ এম শাকিল ফায়জুল্লাহ, হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেডের (এইচএসবিসি) উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, সেভ দ্য চিলড্রেনের এ-দেশীয় প্রতিনিধি মার্ক পিয়ার্স, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ডা. রওশন আরা বেগম, স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের বিপণনপ্রধান জেসমিন জামান, ইউনিলিভার বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও ডিজিটাল বিভাগের প্রধান ফারহা নাজ জামান, জাতিসংঘের জনসংখ্যাবিষয়ক তহবিল ইউএনএফপিএর যোগাযোগ কর্মকর্তা আসমা আক্তার, ব্র্যাকের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি) কে এ এম মোর্শেদ, ইএমকে সেন্টারের পরিচালক নাভিদ আকবর, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর উপপরিচালক গগন রাজভান্দারি, আইআইডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদ আহমেদ।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), ওয়ার্ল্ড ভিশন, ব্রিটিশ কাউন্সিল, আইপিডিসি ফিন্যান্স, ব্রিটিশ হাইকমিশন, তৌফিকা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, ক্রাউন সিমেন্ট, বিআরবি হাসপাতাল, দি মেটাল লিমিটেড, ইক্কো করপোরেশন, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল, গ্রামীণফোন, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডের প্রতিনিধিরা।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপো বলেন, প্রথম আলো প্রতিদিন ৭৬ লাখ পাঠকের কাছে পৌঁছায়। এর মানে হলো উন্নয়ন ও নীতির ক্ষেত্রে এর বিপুলসংখ্যক পাঠকের কাছে বার্তা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। এই সংবাদপত্রে মানসম্মত সাংবাদিকতার চর্চা হয়। তবে ভাষা, বিজ্ঞান, বই এবং তারুণ্যের বাইরে নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টিতে জোর দেওয়া উচিত।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জোর দেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপো। ছবি: প্রথম আলো
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জোর দেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপো। ছবি: প্রথম আলো

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবুল কাশেম মো. শিরিন বলেন, গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম আলোর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে থাকতে পেরে তাঁরা আনন্দিত। প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথম আলো পাশে না থাকলে গণিত অলিম্পিয়াডের সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হতো না।

বিকাশ লিমিটেডের সিইও কামাল কাদির বলেন, মার্চে ৭টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠেয় বিজ্ঞানচিন্তা-বিকাশ জাতীয় বিজ্ঞান উৎসবের আয়োজনে সহায়তা করছে বিকাশ। কারণ বিকাশ মনে করে, ছোটবেলা থেকে যদি বিজ্ঞান বিষয়ে পরিস্ফুটন করা যায়, তবে এর স্থায়িত্ব বেশি হয়।

সিটি ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, প্রথম আলো পরিবারের সঙ্গে তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান নানাভাবে জড়িত থাকতে পেরে আনন্দিত। তিন বছর ধরে প্রথম আলোর মাসিক প্রকাশনা বিজ্ঞানচিন্তা প্রকাশে সহায়তা করছে সিটি ব্যাংক। প্রথম আলোর সঙ্গে এ বছর প্রথমবারের মতো বাংলা সাহিত্যের উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া এবারের বইমেলায় তাঁর লেখা বই প্রকাশের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিনি ধন্যবাদ জানান প্রথমা প্রকাশনকে।

প্রথম আলো সব সময় স্নিগ্ধ আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন এইচএসবিসির উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ভাষা প্রতিযোগ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোর সঙ্গে রয়েছে। নানা চাকচিক্যের মধ্যে প্রথম আলো স্নিগ্ধ আলো দেয়। এই স্নিগ্ধ আলো বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও তাঁর কর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, প্রথম আলোর মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে কোথায় কী ভুল হচ্ছে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলা শিশু নির্যাতন রোধে নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন। তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভিন্নমত গ্রহণ ও ভিন্নতা পোষণ করা—এ দুটোই উদ্‌যাপন করা উচিত।

অনুষ্ঠানে কথা বলছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। ছবি: প্রথম আলো
অনুষ্ঠানে কথা বলছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। ছবি: প্রথম আলো

সেভ দ্য চিলড্রেনের এ-দেশীয় প্রতিনিধি মার্ক পিয়ার্স বলেন, অনুষ্ঠানে এসে তিনি প্রথম আলোর কার্যক্রমের ব্যাপারে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধসহ শিশুদের ক্ষেত্রে কী ধরনের সহযোগিতা করা যায়, কোন ইস্যুতে আলোকপাত করা যায়, সে সম্পর্কে তিনি ধারণা পেয়েছেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যের আগে প্রথম আলোর ২০ বছরের কিছু কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। পদ্মাপারে চর খিদিমপুরে প্রথম আলোর সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত ‘আলোর পাঠশালা’ স্কুল নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।

প্রথম আলোর সামাজিক দায়িত্ব পালনের কিছু তথ্য তুলে ধরে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম জানান, ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর যাত্রা শুরু করার পর থেকে প্রথম আলো বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ৩৫০টি গোলটেবিল বৈঠক করেছে। এতে বাল্যবিবাহ, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, প্রজনন স্বাস্থ্য, প্রতিবন্ধীদের অধিকার, শিশুশ্রম, শিক্ষা, পরিবেশ, সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ইত্যাদি ইস্যুতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেসব বৈঠকে মন্ত্রী, নারী নেত্রীসহ সংশ্লিষ্ট খাতের নীতিনির্ধারকেরা উপস্থিত হয়েছেন। সেসব আলোচনা নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানগুলো শক্তিশালী করতে সেসব আলোচনা ভূমিকা রেখেছে। বৈঠকগুলো পাঠকদেরও নজর কেড়েছে, তাঁরা অনেক বিষয়ে সচেতন হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি সমন্বয়ক মুনির হাসান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় প্রথম আলোর শিক্ষাবিষয়ক কিছু কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রথম আলোর গণিত অলিম্পিয়াড এখন দেশজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় এক উদ্যোগ। ২০০১ সালে এটা শুরুর সময় অংশ নেয় ২১৮ জন শিক্ষার্থী। এখন ‘ডাচ বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব’-এ অংশ নিচ্ছে ৫০ হাজার শিক্ষার্থী। গত বছর জুলাই মাসে রোমানিয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৯তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে চৌধুরী আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী দেশের জন্য প্রথম স্বর্ণপদক জয় করেছে। এ ছাড়া ‘এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগ’, ‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-প্রথম আলো আন্তস্কুল ও কলেজ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা’, ‘ক্রাউন সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্যের উৎসব’ এবং ‘পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব’ প্রথম আলোর অন্যতম জনপ্রিয় কর্মসূচি।

প্রথম আলোর পাশে থাকায় দেশি-বিদেশি সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। ছবি: প্রথম আলো
প্রথম আলোর পাশে থাকায় দেশি-বিদেশি সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। ছবি: প্রথম আলো

প্রথম আলো ট্রাস্টের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আজিজা আহমেদ প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোগিতায় সামাজিক দায়িত্ব পালন ও সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোগিতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, নওগাঁ ও ভোলায় ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল নেই এমন দুর্গম এলাকায় পাঁচটি স্কুল গড়ে তোলা হয়েছে। অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য প্রথম আলোর সহায়তা তহবিল রয়েছে। অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের (এএসএফ) সহযোগিতায় অ্যাসিডদগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসা, আইনি ও পুনর্বাসন সহায়তা দেওয়া হয়। প্রথম আলো মাদকবিরোধী পরামর্শসভার বৈঠক প্রতি মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবার চিকিৎসক ও কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সহায়তা পেয়ে থাকেন। প্রথম আলোর রয়েছে অদম্য মেধাবী তহবিল। এ তহবিল থেকে প্রতিবছর ১০০ জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীকে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত এক হাজার শিক্ষার্থী এ সহায়তা পেয়েছে। এ ছাড়া বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধসসহ বিভিন্ন দুর্যোগে প্রথম আলোর ত্রাণ সহায়তা তহবিল রয়েছে। সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এ তহবিল থেকে দুই কোটি টাকারও বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

প্রথম আলোর ডিজিটাল বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক জাবেদ সুলতান জানান, প্রিন্ট ও অনলাইন মিলিয়ে প্রথম আলো প্রতিদিন পড়ছেন গড়ে ৭৬ লাখ পাঠক। অ্যালেক্সা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশে গুগল, ইউটিউবের পরই প্রথম আলোর অবস্থান। আর বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম আলো ডটকমের অবস্থান ৪৯৫। গত ডিসেম্বরে প্রথম আলো ফেসবুকে সংবাদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কনটেন্ট প্রকাশকদের মধ্যে শীর্ষ এনগেইজড বা পাঠক সাড়া পাওয়াদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। গত বছরের ১ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে ২ কোটি ১০ লাখ সাড়া (এনগেজমেন্ট) পাওয়া যায়। প্রথম আলোর ফেসবুক পেজের রয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ লাইক।