সফল নির্বাচনের মাধ্যমে এ সংসদ প্রতিষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবারের নির্বাচনে সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। গত ডিসেম্বরে হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সফল বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ বিকেল ৩টায় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এ অধিবেশনে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার মধ্য দিয়ে এই সংসদ প্রাণবন্ত ও কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সরকারি ও বিরোধী দল। আজ বৈঠকের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হয়। এ দুটি পদে পরিবর্তন আসেনি। শিরীন শারমিন চৌধুরী টানা তৃতীয় মেয়াদে স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন ফজলে রাব্বী মিয়া।

আজকের সংসদে বক্তব্যে দিতে গিয়ে প্রথমেই নব নির্বাচিত স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, সংসদে সব দলের সদস্যরা যাতে সমান সুযোগ পান সেটা দেখতে হবে। সরকারি দল এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সমালোচনা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধী দল যথাযথভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারবে। এখানে কোনো বাধা দেওয়া হবে না।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,‘অনেক ঘাত প্রতিঘাত চড়াই উতরাই পার হয়ে আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। এবারের নির্বাচনে সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। একটি সফল নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা। সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভোটারদের সার্বিক উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে এবং দেশে যাতে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে, বাংলাদেশ জঙ্গিমুক্ত, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশ যাতে গড়ে উঠে মানুষের জীবনের জীবনে শান্তি ও নিরাপদ হয় সেটাই লক্ষ রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রই একটি দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যায় তা আজ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রমাণিত সত্য। আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে গিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়ে তুলব।