প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলোৎপাটন: সিআইডি

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: প্রথম আলো
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: প্রথম আলো

সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস চক্রটির মূলোৎপাটন হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি বলছে, নিয়োগ ও ভর্তিতে প্রশ্নফাঁস এবং ডিজিটাল জালিয়াতের দুই আলাদা চক্রকে তারা আইনের আওতায় এনেছে। সর্বশেষ ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াত চক্রের মূল হোতা হাফিজুর রহমান হাফিজ ও মাসুদ রহমান তাজুলসহ এখন পর্যন্ত এ দুটি চক্রের ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ‘প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলোৎপাটনের আদ্যোপান্ত’ তুলে ধরা হয়।

সিআইডি বলছে, ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায় মূলত দুই ভাবে জালিয়াতি হয়। একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে। অন্য চক্রটি পরীক্ষার দিন প্রশ্ন সংগ্রহ করে সমাধান বের করে। এর পর ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে তা পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করে। সিআইডি প্রশ্নফাঁস চক্রটিকে আগেই শনাক্ত করেছে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেছে। এবার তাঁরা ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াতি চক্রটিকেও গ্রেপ্তার করেছে।

সিআইডি বলছে, গত কয়েক দিন অভিযান চালিয়ে ডিজিটাল জালিয়াত চক্রের মূল হোতা বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস, ৩৮-তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহীম মোল্লা, বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, আইয়ুব আলী বাঁধনসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রটি বিসিএস পরীক্ষায়ও জালিয়াতি করেছে।

সিআইডি বলছে, ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াত চক্রের ৬ মূল হোতার অলিপ, ইব্রাহীম, মোস্তফা, তাজুল, হাফিজ ও বাঁধনের প্রত্যেকের নিজস্ব সহযোগী চক্র ছিল। এদের মধ্যে গত কয়েক দিনের অভিযানে হাফিজ ও তাজুল গ্রেপ্তার হয়েছে।

সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া ৯ জনের মধ্যে হাফিজ জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এবং তাজুল ব্যবসায়ী। বাকিদের মধ্যে আবদুর রহমান রমিজ, সাইদুর রহমান ও মোহায়মিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির ছাত্র, রিমন গ্রীন ইউনিভার্সিটির ছাত্র, জাহাঙ্গীর আলম অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার, মোশারফ হোসেন মোসা ঢাকা কলেজের পিওন, অসীম বিশ্বাস ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী।