উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইসিকে অনুরোধ করব: নাসিম

মোহাম্মদ নাসিম। ফাইল ছবি
মোহাম্মদ নাসিম। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আমরা অনুরোধ করব যেন উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। সে জন্য ১৪ দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৯৭তম সলঙ্গা দিবস’–এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে যার যার দল থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। ১৪ দল আছে, থাকবে। ভাঙার কোনো কারণ নেই। ১৪ দল কেন থাকবে না? ১৪ দল থাকবে, ১৪ দল নিয়ে যেন কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না হয়। সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে কাজ করবে। ১৪ দলের নেতৃত্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে।

১৪ দলের বিষয়ে নাসিম আরও বলেন, ১৪ দল ক্ষমতার লোভে সৃষ্টি হয়নি। এই দল শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি এখনো নিঃশেষ হয়নি, তারা চুপ করে আছে, যেকোনো মুহূর্তে মাথা তুলে দাঁড়াবে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আবারও দরকার হলে মাঠে নামবে ১৪ দল।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সত্যিকার অর্থে সংসদে যে ধরনের বিরোধী দল থাকার দরকার ছিল, সে দল নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ১৪ দল রয়েছে। শেখ হাসিনাকে সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে রক্ষা করতে সংসদের ভেতরে এবং বাইরে ভুল ধরিয়ে দেওয়া ১৪ দলের দায়িত্ব। যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে ভুল সংশোধন করে ফেলতে পারে।

অনুষ্ঠানে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে চা-চক্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসবে ১৪ দল। ঢাকায় যেন মাওলানা তর্কবাগীশ স্মৃতিচিহ্ন করা হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাবে ১৪ দল। তিনি আরও বলেন, ইতিহাসে যারা ভুল করেছে, তারা এখনো ভুল স্বীকার করেনি, মাফও চায়নি। ১৯৭১, ১৯৭৫ ও ২১ আগস্ট নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিএনপি ও জামায়াত জড়িত রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের ভুল স্বীকার করেনি, জনগণের কাছে মাফ চায়নি।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, যত দিন বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের জনগণের কাছে মাফ না চাইবে, তত দিন তারা জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হবে। তারা যত দিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে থাকবে, তত দিন রাজনীতি হুমকির মুখে থাকবে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত এই অশুভ শক্তিকে জামাই আদর করে বিরোধী দলে বসানো উচিত হবে না বলে তিনি মনে করেন। বিএনপি-জামায়াতকে রাজনীতি থেকে বিদায় করা উচিত। তা না হলে এই সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারও মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়াবে।

গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।