মা-বাবার সাক্ষ্যে কারাগারে ইয়াবা বিক্রেতা!

বছরের পর বছর ধরে মাদক বিক্রি ও সেবন করতেন ছেলে। একদিন ইয়াবা সেবন করে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতে থাকেন তিনি। এবার আর বাবা সহ্য করেননি। ছেলেকে আসামি করে ঠুকে দেন মামলা। সেই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মাদকাসক্তের বাবা, মা, ভাইবোন ও স্ত্রী। সেই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তকে দিয়েছেন দুই বছরের কারাদণ্ড।

এ ঘটনা ঘটেছে ফেনীতে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মীর হোসেন (৩৬)। তাঁর বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের মধ্যম জয়পুর।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার মাদকাসক্ত ও মাদক বিক্রেতা মীর হোসেনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১)/৯(ক) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইন এ রায় দেন। এ সময় ওই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মীর হোসেন ১৮ বছর যাবৎ মাদক সেবন ও বিক্রি করে আসছিলেন। তিনি আগে একটি ছোট চাকরি করতেন। মাদক সেবন করতে গিয়েই তাঁর চাকরি যায়। মীর হোসেনের নানা অত্যাচারে পরিবারটি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

ফেনীর সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সহদেব কুমার বৈদ্য প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালের ৩ জুলাই দুপুরে আসামি মীর হোসেন ইয়াবা সেবন করে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। তখন তাঁর বাবা মো. ইউছুফ ভূঁইয়া, মা ছকিনা বেগম, বোন নার্গিস সুলতানা, বড় ভাই ইউনুছ ভূঁইয়া এক হয়ে মাদকাসক্ত মীর হোসেনকে আটক করে ছাগলনাইয়া থানা-পুলিশকে খবর দেয়। তাঁকে ওই বাড়ি থেকে আনতে গিয়ে পুলিশ আসামির বিছানার বালিশের নিচ থেকে ২৫টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় আসামির বাবা মো. ইউছুফ ভূঁইয়া বাদী হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ছাগলনাইয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি আদালতে চলার সময় বাবা, মা, ভাইবোন, আসামির স্ত্রী, পুলিশসহ নয়জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।