সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আশাদুল ইসলাম (২৮) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

আজ শনিবার ভোরে উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ডাঙ্গাটারী সীমান্তে ওপারে ভারতের নিউ কুচলিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। নিহত আশাদুল ইসলাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এক ছেলে ও মেয়ের বাবা।

রংপুর-৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে আশাদুল নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের পর কাল রোববার বিকেলে ফেরত দেবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। তবে বিএসএফ বলেছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় বাউরা ইউনিয়নের ডাঙ্গাটারী (মেছেরঘাট) গ্রাম সীমান্তের ৮০২ নম্বর মেইন পিলারের ১০ নম্বর সাব–পিলারের কাছে দিয়ে একটি গরু পারাপারকারী (রাখাল) দলের সদস্যরা ভারতের কোচবিহারের মেকলিগঞ্জের নিউ কুচলিবাড়ি গ্রামে যায়। সেখানে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীর কাছে থেকে গরু আনতে যায় তারা। গরু নিয়ে ভোরে (শনিবার) আবারও ওই সীমান্ত দিয়ে ফেরত আসার সময় ভারতের কোচবিহার ১৪৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ কুচলিবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় রাখাল দলে অন্য সদস্যরা পালিয়ে এলেও আশাদুল বিএসএফের টহল দলের সদস্যদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আশাদুলের লাশ ক্যাম্পে নিয়ে যান।

বিজিবির ভাষ্যমতে, আজ বিকেলে ওই সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ঠ্যাংঝারা বিজিবি সদর কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. রফিক বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানান। জবাবে বিএসএফের কমান্ডার বলেন, তাঁরা গরু চোরাকারবারি। তাই গরু নিয়ে যাওয়ার সময় বিএসএফ সদস্যরা বাধাসহ ধাওয়া দিলে ওই পাচারকারি দলের সদস্যরা পাল্টা বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা করেন ও আক্রমণ চালান। এ সময় বিএসএফ গুলি চালায়।