সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী কে, প্রশ্ন ভূমিমন্ত্রীর

মাঝিরঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদী দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিদর্শন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। চট্টগ্রাম, ২ ফেব্রুয়ারি। ছবি: সৌরভ দাশ
মাঝিরঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদী দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা পরিদর্শন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। চট্টগ্রাম, ২ ফেব্রুয়ারি। ছবি: সৌরভ দাশ

কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘কোনো প্রভাবশালী নাই। প্রভাবশালী বলতে আমি কিছু বুঝি না। সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী কে? মহামান্য আদালতের রায় আছে।’

ভূমিমন্ত্রী আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে কর্ণফুলীর মাঝিরঘাট এলাকা পরিদর্শন করে দখলদারদের উচ্ছেদের বিষয়ে এই মন্তব্য করেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমার কাছে অনেক ফোন আসছে, অনুরোধ আসছে। এখানে অনুরোধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘ সময় আমরা দিয়েছি। আর কিছু করার নেই এখানে। আমরা সবকিছু বিবেচনা করে কাজ করছি। সোমবার থেকে উচ্ছেদ শুরু হবে।’

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মূলত এসেছি সরেজমিনে তদারকি করার জন্য। সোমবার থেকে এখানে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। আমাদের হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যেভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, আরএস খতিয়ান মোতাবেক, সেই কাজটি শুরু করা হবে। তিনি বলেন, কয়েকটা জোন ভাগ করেছি। প্রথম জোনে আমাদের ২০০ স্থাপনার মতো ভাঙলে ১০ একরের মতো জায়গা উদ্ধার হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ধীরে ধীরে আমরা জোন অনুযায়ী ধরে পতেঙ্গা পর্যন্ত উচ্ছেদ করব। আমি ইতিমধ্যে আমার মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছি। সুতরাং আমি সবার সহযোগিতা চাই। এই কর্ণফুলী নদী আমাদের চট্টগ্রামের একটা সম্পদ। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। কারণ কর্ণফুলী বাঁচলেই চট্টগ্রাম শহর বাঁচবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখানে মূলত যাঁরা স্থাপনা করেছেন, তাঁরা মানসিকভাবে জানেন, ২০১৫ সাল থেকে তারা স্থায়ী কোনো স্থাপনা এখানে করেননি। কারণ আমরা বারবার বলেছি যে এখানে কাউকে স্থায়ী স্থাপনা করতে দেওয়া হবে না। সেটা সরকারি হোক আর বেসরকারি হোক। আমরা কোনোটাই ছাড় দেব না।’