পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা, মৃত্যুদণ্ড

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী জিসান চৌধুরী ওরফে জিকুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক মোহাম্মদ সফিউল আলম এ রায় দেন। তবে জিসান পলাতক রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩ এপ্রিল শহরের পাওয়ার হাউস সড়ক সংলগ্ন নিউ মৌড়াইল এলাকার জিসান চৌধুরীর (৩৩) সঙ্গে ঢাকার ডেমরাস্থ কাজলা এলাকার জেসমিন আক্তারের (২৩) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সাইফুল্লাহ নামে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। সাইফুল্লাহ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নেওয়ায় জিসানকে বাড়ি থেকে বের করে পরিবার। পরে জিসান স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কাউতলি এলাকায় ভাড়া বাসায় ওঠেন। কিন্তু জিসান পরকীয়া করায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই প্রায় কথা-কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হতো। এমনকি জিসান প্রায়ই জেসমিনকে মারধর করত। ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট জিসান দুপুরের দিকে জেসমিনকে মারধর করেন। জেসমিন বিষয়টি তাঁর বাবার বাড়িতে জানান। একই দিন বিকেল পাঁচটার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে জেসমিনকে হত্যা করেন জিসান। এরপর জিসান নিজেই পুলিশকে খবর দেন এবং খুনের দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জিসানকে জেলা কারাগারে পাঠায়।

এ ঘটনায় জেসমিনের বাবা মুসলিম মুন্সি জিসানকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। জিসান আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলা বিচারাধীন থাকাকালে জামিন নিয়ে জেলা কারাগার থেকে বের হন। এরপর থেকেই জিসান পলাতক রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই ) বেলাল হোসেন ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মুসলিম মুন্সী বলেন, ‘মেয়ের হত্যার বিচার পেয়েছি। আদালতের আদেশে আমরা সন্তুষ্ট। এমন বিচারই প্রত্যাশা করেছিলাম।’