১৬ প্রতিষ্ঠানের মালিক, হাতে ১ লাখ টাকাও নেই

আতিকুল ইসলাম ও ববি হাজ্জাজ
আতিকুল ইসলাম ও ববি হাজ্জাজ
>

• ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচন
• মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন
• জাপা-সমর্থিত শিল্পী শাফিনের মনোনয়নপত্র বাতিল
• এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের বাড়ি নেই
• বার্ষিক আয় নেই দুই প্রার্থী আনিস ও শাহীনের

উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলামের ১৬টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে তাঁর কাছে এখন নগদ ১ লাখ টাকাও নেই। তবে তাঁর স্ত্রীর রয়েছে আড়াই কোটি টাকার বেশি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচন। ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও ঋণ খেলাপের অভিযোগে জাতীয় পার্টি (জাপা)-সমর্থিত সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

গাড়ি নেই আতিকুলের
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম বছরে আয় করেন ১ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৯৭৫ টাকা। ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি নেই। তাঁর নিজের নামে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাড়ি আছে। স্ত্রীর নামে অ্যাপার্টমেন্ট ৫০ লাখ টাকায় বায়না করা আছে।

হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আতিকুল ইসলামের নগদ আছে ৮৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯১ হাজার ৩০২ টাকা। স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৪ টাকা। তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৭৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ টাকা। সোনা আছে ৩০ ভরি। আর স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮২ লাখ ১ হাজার ৭৫৩ টাকা।

মাত্র ৫ হাজার টাকার আসবাব ববি হাজ্জাজের
মেয়র পদে আরেক প্রার্থী জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। তিনি বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের ছেলে। হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ববি হাজ্জাজ ও তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো বাড়ি নেই। মাত্র ৫ হাজার টাকার আসবাব আছে। ববি হাজ্জাজের সাড়ে ১২ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ি আছে। বর্তমানে তাঁর হাতে নগদ টাকা আছে ৫৪ লাখ ১০ হাজার ৮৬ টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে আছে ৪৫ হাজার টাকা। ববি হাজ্জাজের বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪১২ টাকা, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার আছে ৫০০টি। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৬২৬ টাকা। স্থাবর সম্পদ নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ)। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

বার্ষিক কোনো আয় নেই আনিস ও শাহীনের
মেয়র পদে আরেক প্রার্থী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনিসুর রহমান দেওয়ানের বার্ষিক কোনো আয় নেই। তবে তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে নগদ আছে ৩০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। স্থাবর কোনো সম্পদ নেই। তবে স্ত্রীর নামে একটি ৯০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট আছে।

প্রায় একই অবস্থা প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহীন খানের। তাঁরও বার্ষিক আয় নেই। নেই স্থাবর সম্পদ। বর্তমানে হাতে আছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

আটটি মামলা রহিমের বিরুদ্ধে
মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম তাঁর হলফনামায় বলেছেন, বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে আটটি। এ ছাড়া তিনটি মামলায় তিনি

অব্যাহতি পেয়েছেন। তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৭ টাকা।