১২ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ-সংযোগ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং নয়টি গ্রিড উপকেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। এতে ১ হাজার ৬২ মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। আজ বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গ্রিড উপকেন্দ্র উদ্বোধন করেন।


একই অনুষ্ঠানে তিনি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় দেশে এই প্রথম সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ১২টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ–সংযোগের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে সিরাজগঞ্জ ২৮২ মেগাওয়াট সিম্পল সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভোলা ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, চাঁদপুর ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশুগঞ্জ ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, খুলনার রূপসায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং চট্টগ্রামের জুলদা ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র (তৃতীয় ইউনিট)।

নয়টি উপকেন্দ্র হচ্ছে রামগঞ্জ, বরিশাল (উত্তর), বারইয়ারহাট, শিকলবাহা, জলঢাকা, সুনামগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, রাঙামাটি ও মাতারবাড়ী।
শতভাগ বিদ্যুৎ–সংযোগের আওতায় আসা উপজেলাগুলো হলো হরিণাকুণ্ডু, ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, গোয়ালন্দ, কালুখালী, বামনা, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ, আজমেরীগঞ্জ, বাহুবল, মেলান্দহ ও ইসলামপুর।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ৩০৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৬৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ ইতিমধ্যেই উদ্বোধন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৩টি উপজেলা চলতি বছরের জুন নাগাদ উদ্বোধন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

আহমেদ কায়কাউস বলেন, ২০ হাজার ৮৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করায় দেশের ৯২ শতাংশের বেশি জনগণ বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় এসেছে। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে ১০০ নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সুবাদে বাংলাদেশ এখন বিদ্যুৎ–ঘাটতির দেশ থেকে বিদ্যুৎ–উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে।

সাবেক মন্ত্রী এবং জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ ইসলাম আল জ্যাকব এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যরা এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।