লাগাতার অনশনে যাচ্ছেন সেকায়েপের শিক্ষকেরা

চাকরি স্থায়ী করা বা পরের প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অনশন শুরু করতে যাচ্ছেন সেকায়েপ প্রকল্পের অধীন অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকেরা। জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা, ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা
চাকরি স্থায়ী করা বা পরের প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অনশন শুরু করতে যাচ্ছেন সেকায়েপ প্রকল্পের অধীন অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকেরা। জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা, ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা

চাকরি স্থায়ী করা বা পরের প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অনশন শুরু করতে যাচ্ছেন সেকায়েপ প্রকল্পের অধীন অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকেরা (এসিটি)। এর আগে তাঁরা ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন।

প্রতীকী অনশনের শেষ দিনে আজ বুধবার আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, দাবি পূরণের বিষয়ে এখনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তাঁরা লাগাতার অনশনে যাচ্ছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচি চলবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা বলেছেন, সরকারের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) অধীনে ২০১৫ সালে তাঁদের মতো সারা দেশে ৫ হাজার ২০০ জন অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, যাঁদের প্রায় সবাই ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক। তাঁদের দাবি, সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, ২০১৭ সালে ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প শেষে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করা হবে। কিন্তু এখনো স্থায়ী করা হয়নি। ফলে এখন বেতন ছাড়াই প্রায় ১৪ মাস ধরে ক্লাস নিচ্ছেন। তাঁদের দাবি, মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও তাঁদের চাকরি স্থায়ী বা পরবর্তী প্রকল্পে নেওয়া হোক।