শেখ হাসিনা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা: জোলি

জাতিসংঘের বিশেষ দূত ও বিশিষ্ট হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: বাসস
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ও বিশিষ্ট হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: বাসস

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, শেখ হাসিনা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা।

বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের বিশেষ দূত আজ বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, এ মুহূর্তে বিশ্বে শেখ হাসিনার মতো নেতা খুব কমই রয়েছে। তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ওপর বিশাল বোঝা সৃষ্টি করেছে। আশ্রয়শিবিরগুলোতে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের দেখভাল করা খুবই কঠিন কাজ।

বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা
বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা

বাংলাদেশের বোঝা লাঘবে ইউএনএইচসিআর ও বিশ্বব্যাংক একযোগে কাজ করবে বলে জানান জোলি। বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ওপর তিনি জোর দেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে জোলি বলেন, বাংলাদেশ তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ইস্যুতে সহযোগিতার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট অবশ্যই সমাধান করতে হবে। মিয়ানমার বাংলাদেশের নিকট-প্রতিবেশী এবং তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে সেই চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্বে হতাশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের বোঝা লাঘবে ইউএনএইচসিআর ও বিশ্বব্যাংক একযোগে কাজ করবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের বোঝা লাঘবে ইউএনএইচসিআর ও বিশ্বব্যাংক একযোগে কাজ করবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যে আশ্রয়শিবিরগুলোতে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের মতো নতুন শিশুর জন্ম হয়েছে।

এ সময় শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে তাঁর মাসহ তিনি ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের গৃহবন্দী থাকার এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ৬ বছর ধরে তাঁর নির্বাসনে থাকার মুহূর্তগুলোর বর্ণনা দেন। জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সেই বেদনাময় কাহিনি শুনে দুঃখপ্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বোনের ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।