গণতান্ত্রিক স্বাধীনতায় বাংলাদেশ পিছিয়েছে

টানা ১৩ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা কমছে। এ থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের বিবেচনায় এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর আগের বছরের তুলনায় কমেছে ৪ পয়েন্ট।

‘ডেমোক্র্যাসি ইন রিট্রিট: ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত সোমবার প্রকাশ করেছে ফ্রিডম হাউস। এতে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ১০০ (সবচেয়ে ভালো) এর মধ্যে ৪১। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ছিল ৪৫। তার আগের বছর ৪৭।



১৯৫টি দেশ ও ১৪ অঞ্চলের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার—এ দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার স্কোর নির্ণয় করা হয়েছে। ৪১ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে ‘আংশিক মুক্ত’ দেশের কাতারে। আগের দুই বছরও একই ক্যাটাগরিতে ছিল বাংলাদেশ। অপর দুটি ক্যাটাগরি হলো ‘মুক্ত’ ও ‘মুক্ত নয়’।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের দমন-পীড়ন ও ভয়ভীতি দেখায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোটের দিনও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এবং বিভিন্ন দলের মধ্যে সংঘাতের তথ্য এসেছে, ডজনখানেক লোকের প্রাণ গেছে সহিংসতায়।’

১০০–এর মধ্যে ১০০ স্কোর নিয়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে তিন দেশ; ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেন। বিপরীত দিকে একেবারে তলানিতে আছে সিরিয়া। দেশটির স্কোর শূন্য।