সড়কে গেল শিক্ষকসহ তিনজনের প্রাণ

রংপুর ও কিশোরগঞ্জে পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। দুটি ঘটনাই ঘটেছে গতকাল বুধবার রাতে। নিহত তিনজনই মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন।

রংপুর: ঢাকাগামী নৈশবাসের ধাক্কায় রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুল মজিদ মিয়া (৫২) নিহত হয়েছেন। গতকাল রাতে উপজেলার গড়েরমাথা এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মজিদ উপজেলার চেংমারি ইউনিয়নের ফকিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি। তাঁর বাড়ি উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রাতে সাড়ে ১১টায় আব্দুল মজিদ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় রংপুর থেকে ঢাকাগামী একটি নৈশবাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মজিদ মারা যান।
দুর্ঘটনায় আবদুল মজিদের মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন। প্রথম আলোকে আজ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, দুর্ঘটনা ঘটানো বাসটির কোনো হদিস এখনো পাওয়া যায়নি।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে থেমে থাকা ট্রাক্টরে ধাক্কা খেয়ে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল রাত নয়টার দিকে করিমগঞ্জ উপজেলার জাল্লাবাদের কিশোরগঞ্জ-চামড়া বন্দর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন খায়রুল ইসলাম (২৭) ও মো. ছমির মিয়া (৩০)। তাঁরা দুজনই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজকুন্তি গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে খায়রুল ও ছমির করিমগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জ শহরের উদ্দেশে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় জাল্লাবাদ এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক্টরের পেছন দিকে মোটরসাইকেলটি ধাক্কা খায়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গুরুতর আহত হন দুজন। তাঁদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক্টরটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে যান।