দায়ের কোপে ধর্ষণ থেকে রক্ষা!

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এবার দুই সন্তানের জননীকে (৩০) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারীর ভাষ্য, ধর্ষণের চেষ্টাকারী ব্যক্তিকে দা দিয়ে আঘাত করে নিজেকে রক্ষা করেছেন তিনি। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শরীরে জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে মামলা হলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কবিরহাট উপজেলার ধান শালিক ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠা ব্যক্তির নাম মো. মানিক (৩৫)। বাড়ি উপজেলার ধান শালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালী গ্রামে। তাঁকে পার্শ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ১৮ জানুয়ারি রাতে একই উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে বসতঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে এক গৃহবধূকে (২৭) গণধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার তিন সপ্তাহের মাথায় পাশের ধান শালিক ইউনিয়নে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটল।

গতকালের ঘটনা সম্পর্কে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কিছুদিন ধরে তাঁর স্বামীর বনিবনা হচ্ছিল না। দুজনের মধ্যে মিলমিশ করে দেওয়ার কথা বলেন একই এলাকার বাসিন্দা মানিক। এ জন্য তিনি ওই নারীকে একটি তাবিজ এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। গৃহবধূ এতে রাজি হন।

ওসি মির্জা হাছান বলেন, ওই নারীর স্বামীর বন্ধু মানিক। গতকাল রাত আটটার দিকে তিনি (মানিক) তাবিজ নিয়ে গৃহবধূর বাড়িতে যান। ঘরে ঢুকে তিনি গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় গৃহবধূ ঘরে থাকা দা দিয়ে মানিককে আঘাত করে নিজেকে রক্ষা করেন। মানিক আহত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে গৃহবধূ ও তাঁর সন্তানদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে ঘটনা জানাজানি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত মানিক রাতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে গৃহবধূ এলাকার লোকজনের মাধ্যমে থানায় গিয়ে এ বিষয়ে মানিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

কবিরহাট থানার পুলিশ জানায়, মানিককে আজ শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী ভুক্তভোগী গৃহবধূ। মানিককে আজই আদালতে তোলা হবে।