জামায়াতের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: প্রথম আলো
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: প্রথম আলো

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীর দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার রায়ে আদালত জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত বলে উল্লেখ করেছেন। দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য আবারও ওই সংশোধনী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।

মন্ত্রী আরও জানান, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতিমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রশ্নোত্তর শুরুর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের রোববারের অধিবেশন শুরু হয়।

এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকলনবিশদের চাকরি রাজস্ব খাতে ন্যস্ত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বালু নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দখলমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, ধলেশ্বরী ও টঙ্গী খালের পানি কল-কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত তরলে দূষিত হয়ে পড়েছে। এসব নদীতে শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ বাড়ানোর জন্য বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর অধীনে শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদী থেকে পানি নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ১৪১ কিউসেক পানি বাড়ানো হবে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২০১১ সালে তিস্তা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। অচিরেই সমতা, ন্যায়ানুগতা ও পারস্পরিক ক্ষতি না করার নীতির ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন হবে।

১৪ লাখ জেলে পরিচয়পত্র পেয়েছেন
ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয় প্রদান প্রকল্পের আওতায় (জুন ২০১৭) ১৬ লাখ ২০ হাজার মৎস্যজীবী-জেলেদের নিবন্ধন ও ডেটাবেজ প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলের মধ্যে পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জনপ্রশাসনে বর্তমানে (জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত) সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে সিনিয়র সচিব পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৯৬ জন কর্মকর্তা কর্মরত আছেন। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সিনিয়র সচিব ১০ জন, সচিব ৪৪ জন, ভারপ্রাপ্ত সচিব ২১ জন, অতিরিক্ত সচিব ৫৪১ জন, যুগ্ম সচিব ৭৪৩ জন, উপসচিব ১ হাজার ৮৪৫ জন ও সিনিয়র সহকারী সচিব ১ হাজার ২৯০ জন। এসব কর্মকর্তার মধ্যে ১ হাজার ৩৪১ জন প্রেষণে রয়েছেন, যার মধ্যে সিনিয়র সচিব একজন, সচিব ৭ জন, ভারপ্রাপ্ত সচিব ৯ জন, অতিরিক্ত সচিব ২২৪ জন, যুগ্ম সচিব ৩১৫ জন, উপসচিব ৫৮৯ জন ও সিনিয়র সহকারী সচিব ১৯৬ জন।