পুলিশের কাণ্ড

ডাকাতির প্রস্তুতির একটি ঘটনার সময় কারাগারে ছিলেন হাসান তারেক ওরফে নীরব (৩০)। কিন্তু তার পরও ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি আদালতের নজরে এলে আদালত হাসান তারেককে ওই মামলায় জামিন দেন। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমকে হাজির হয়ে কারণ ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার মহানগর দায়রা এস এম মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলার নথিতে দেখা গেছে, চলতি বছরের ২৪ মার্চ নগরের পাঁচলাইশ সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে অভিযান চালায় পাঁচলাইশ থানার পুলিশ। পরে ছয়জনকে আটক করা হয়। পালিয়ে যায় সাতজন। এ ঘটনায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রূপেন কান্তি দে পাঁচলাইশ থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন এসআই জাহাঙ্গীর আলম। তিনি সন্দেহভাজন আসামি উল্লেখ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর তারেক হাসানকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, হাসান তারেক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। পরে আদালত তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ আদেশ পাওয়ার পর হাসান তারেকের আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। গতকাল শুনানি শেষে আদালত তাঁকে ওই মামলায় জামিনের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে এসআই জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ ঘটনায় আসামি হাসান তারেকের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলে তাঁকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হবে।’
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ রফিকুল কাদের বলেন, ‘হাসান তারেক চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মে পর্যন্ত পাঁচলাইশ থানার দুটি মামলায় কারাগারে ছিলেন।’
হাসান তারেক বলেন, তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।