তিন বন্ধুকে অপহরণ: দুই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা এখন ডিবিতে
গাজীপুরে তিন বন্ধুকে অপহরণ করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় পুলিশের দুই সদস্যকে। মামলাটি আজ সোমবার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে থানা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার পুলিশের দুই সদস্য হলেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার এএসআই মুসরাফিকুর রহমান।
গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থেই মামলাটি কালিয়াকৈর থানা থেকে জেলা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আজ দুপুরে গাজীপুরের বিচারিক হাকিম আদালতে দুই পুলিশ সদস্যকে হাজির করে তাঁদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ওই আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী তরিবুল্লাহ বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে তাঁরা পাঁচ বন্ধু রাজধানীর বাণিজ্য মেলার উদ্দেশে রওনা হন। বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় শিলা-বৃষ্টি ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি নিতে যান। এ সময় তিনি ও তাঁর আরেক বন্ধু রাকিবুল রহমান গাড়ি থেকে নেমে পাশের দোকানে চা পান করতে যান। বাকি তিন বন্ধু কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইবাড়ি এলাকার রায়হান সরকার, লাবিব হোসেন ও শ্রীপুর উপজেলার চন্নাপাড়া এলাকার নওশাদ ইসলাম গাড়িতেই ছিলেন। এ সময় এএসআই মামুন ও এএসআই মুসরাফিকুর সাদাপোশাকে আরও কয়েকজন লোকসহ দুটি মাইক্রোবাসের কাছে যান। পরে সাদাপোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা তিন বন্ধুকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশের মাইক্রোবাসে তোলেন। সেখান থেকে তাঁদের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের দেওড়া এলাকায় নির্মাণাধীন উড়াল সড়কের নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন বন্ধুকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। দাবি করা টাকা না দিলে ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। পরে বেশ কিছু সময় তাঁদের সঙ্গে টাকা নিয়ে দেনদরবার হয়। একপর্যায়ে দুই এএসআই ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন।