শিক্ষা অফিসের বই কেজির দরে বিক্রি করেন নৈশপ্রহরী

>

• ৫ হাজার সরকারি বই জব্দের ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ
• বইগুলো ছিল বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের
• নৈশপ্রহরী নুরুজ্জামান নতুন এসব বই চুরি করে কেজি ধরে বিক্রি করেন

হবিগঞ্জে ভাঙারির দোকান থেকে পাঁচ হাজার সরকারি বই জব্দের ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। তারা বলছে, বইগুলো ছিল বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের। সেখানকার নৈশপ্রহরী নুরুজ্জামান নতুন এসব বই চুরি করে কেজি ধরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ শহরের পৌর বাস টার্মিনাল এলাকার একটি ভাঙারির দোকান থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৫ হাজার ৫৯০টি সরকারি বই জব্দ করে পুলিশ। অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ দলটির নেতৃত্ব দেন কোর্ট স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়া। উদ্ধার হওয়া বইগুলো ছিল নতুন। সেগুলো বিনা মূল্যে সরবরাহের জন্য দেওয়া হয়। অভিযানকালে পুলিশ ওই ভাঙারির দোকানের মালিক হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের রাসেল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের হাশিম মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। পরদিন ১৫ জানুয়ারি এ দুজনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া রাসেল ও হাশিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ২৭ জানুয়ারি বানিয়াচং উপজেলার সাঘরদিঘির পাড়ের দুলাল মিয়া এবং ২৮ জানুয়ারি লাখাই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের মনা মিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। এই দুজন গত রোববার বিকেলে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, আদালতে দুলাল ও মনা মিয়া বলেছেন, বইগুলো বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের। সেখানকার নৈশপ্রহরী নুরুজ্জামান ৮ টাকা কেজি দরে বইগুলো বিক্রি করেন দুলাল মিয়ার কাছে। দুলাল মিয়া তা ১১ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করেন মনা মিয়ার কাছে। ঘটনার পর থেকে শিক্ষা অফিসের নৈশপ্রহরী নুরুজ্জামান পলাতক রয়েছেন জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল বলেন, শিগগিরই এ বিষয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।