প্রেম গভীর হলে প্রেমিক-প্রেমিকা কৌশল করে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের টানাপোড়েন ও পৃথক হওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রেম যখন খুব গভীর হয় এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন প্রেমিক-প্রেমিকা নানা কৌশলের আশ্রয় নেয়। এটা তাদের মধ্যে কৌশলও হতে পারে।’ আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতকে ছাড়তে চায় না, জামায়াতই বিএনপিকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বিএনপি জামায়াত থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে, গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ভেতরের খবর হলো জামায়াত বিএনপিকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিএনপি জামায়াতকে ছাড়তে চায় না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যদি ঘোষণা দিয়ে বলে, আমরা ২০ বছর ধরে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে সংসার করেছি। এটা আমরা ভুল করেছি। আমাদের এখন উপলব্ধি হয়েছে, তাই যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতের সঙ্গে আর থাকব না। এ ঘোষণা দিয়ে যদি বিএনপি জামায়াতকে ত্যাগ করে, তাহলে অবশ্যই বিএনপিকে আমরা সাধুবাদ জানাব। কিন্তু আমরা দেখলাম, জামায়াতই বিএনপিকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এখানে বিএনপিকে সাধুবাদ জানানোর কিছু নেই।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবির প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াসহ যেকোনো সাজাপ্রাপ্ত বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার হচ্ছে আদালতের। বিএনপি বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে একই আহ্বান জানিয়ে প্রকৃতপক্ষে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা জানাচ্ছে, আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে, যেটি সমীচীন নয়। বিএনপির কথায় মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বও পালন করতে হবে।’

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যদি খালেদা জিয়ার যদি মুক্তি চায়, তাহলে আদালতের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগোতে হবে। আর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে না এগিয়ে তারা যদি অন্য কোনো পথে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, সেটি সম্ভব নয়। তাদের কাছে আরেকটি পথ খোলা আছে, সেটি হচ্ছে খালেদা জিয়া তাঁর দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। তাহলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতেও পারেন। এর বাইরে তো অন্য কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, যারা চায়নি বাংলাদেশ হোক, তারা বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়েছে। শুধু তা-ই নয়, খালেদা জিয়া আইএসআইর কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে। বাংলাদেশে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের ঐক্য। আর বাংলাদেশে জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে আদালত রায় দিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তার প্রতিবাদ হয়। অর্থাৎ তাদের যে ঐক্য সেটা তাদের আদর্শিক ঐক্য। তাই তারা আলাদা হওয়ার কথা বলেও প্রকৃতপক্ষে আলাদা হবে না।

ডাকসুর নির্বাচনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের আবদার করে। তাদের ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের আবদার শুরু করেছে। ডাকসু সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হলে হলে ভোট হয়েছে। এবারও একইভাবে ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়। অথচ ছাত্রদল বলছে, “হলে হলে নির্বাচন করা যাবে না।”