রাজশাহীতে জাল জন্মসনদে শিশুকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, বাবার কারাদণ্ড

জাল জন্মসনদ তৈরি করে শিশুকন্যাকে (১১) বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার দায়ে রাজশাহীর বাগমারায় এক বাবাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মূলত স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ নম্বরে কল করে প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন।

কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম মমতাজ আলী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিউল ইসলাম কারাদণ্ডের ওই আদেশ দেন। তবে ঘটনার সময় বরপক্ষের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, পুলিশ আসার খবর পেয়ে বরপক্ষ মাঝপথ থেকে পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের মাধাইমুড়ি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ওই বিয়ে ঠিক হয়। দুপুরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এ সময় ৯৯৯-এ কল পেয়ে থানা-পুলিশ ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হন।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে দুপুরের দিকে পুলিশসহ তিনি শিশুটির বাড়ি যান। এ সময় সেখানে শিশুর মা-বাবাসহ তার স্বজনদের পাওয়া গেলেও বরপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে তাদের বিকেলে ইউএনওর কার্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে। আর বিয়ের জন্য প্রস্তুত করা খাবার শিশুর স্বজন ও এলাকার লোকদের ডেকে খাওয়ানো হয়।

ইউএনও জাকিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই শিশুর মা-বাবাকে ডেকে এনে বাল্যবিবাহের কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। এতে শিশুটির মা অকপটে ভুল স্বীকার করে নিলেও তার বাবা কিছুটা আপত্তি করেন। তিনি মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে—এমন তথ্যসংবলিত হাতে লেখা একটি জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দেখান। এতে তাঁকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, মমতাজ আলীকে সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।