প্রধানমন্ত্রীর অবসরের কথা বলায় স্বাগত রিজভীর

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি থেকে অবসরের পর গ্রামে গিয়ে থাকার কথা বলায় স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে তিনি অবসরের সেই তারিখটা জানতে চেয়েছেন। আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী অভিযোগ করেছেন, একাত্তরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। স্বাধীনতা নিয়ে আওয়ামী নেতৃবৃন্দের দ্বিধা সর্বজনবিদিত। এই কারণে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতায় একজন মেজর জিয়াউর রহমান যখন হতাশাগ্রস্ত জাতির সামনে ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্পর্ধিত বার্তা দেন, তখন ওরা (আওয়ামী লীগ) হতবাক, ক্ষুব্ধ ও অনুশোচনাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঐতিহাসিক ব্যর্থতার জন্যই জিয়াউর রহমানের ওপর আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে। সে জন্য প্রতিহিংসা মেটাতে এখন জিয়ার নাম ও কবরকেও নিশ্চিহ্ন করার ‘ঘৃণ্য’ কর্মে মেতে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘হিংস্রাশ্রয়ী’ সরকার বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও আবেগের উৎস স্বাধীনতার ‘মহান ঘোষক’ ও ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

রিজভীর অভিযোগ, শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে ফেলার ‘নীলনকশা’ বাস্তবায়ন শুরু করার পর এবার চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর দখল করতে মাঠে নেমেছে তারা। গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ হাসিনার সম্মতিতে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে রূপান্তরের জন্য প্রস্তাব এনেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গতকাল মঙ্গলবার জিয়াউর রহমানের নামফলক কালি দিয়ে মুছে দিয়েছে ছাত্রলীগের ‘ক্যাডাররা’। তিনি আরও বলেন, ‘এটা শুধু নোংরামিই নয়, কাপুরুষতা। শাসকগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার অর্থই হলো মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অপমান করা।’

রাজনীতি থেকে অবসরের পরে গ্রামে থাকার খবরকে স্বাগত জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলব, খুব ভালো খবর। জনগণ সেই মাহেন্দ্র দিনের ক্ষণ গণনা শুরু করেছে। কবে আসবে সেই দিন, যেদিন আপনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। আমরা সেই তারিখটা জানতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করে রিজভী বলেন, ‘আমরা বিনীতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, আপনি অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তটি দ্রুত কার্যকর করুন।’

মঙ্গলবার সফিপুরের আনসার একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার পর টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামে গিয়ে থাকার কথা বলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান চৌধুরী, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।