চিকিৎসকের আত্মহত্যা: মিডিয়া ট্রায়ালের আশঙ্কা বিশিষ্টজনদের

চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ ও তাঁর স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু। ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ ও তাঁর স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সম্প্রতি চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিদ্বেষ ও ঘৃণা উদ্রেককারী বক্তব্য প্রকাশে মিডিয়া ট্রায়ালের আশঙ্কা করছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করে দেশের ৪৮ বিশিষ্টজন বিবৃতি দিয়েছেন।

ওই বিবৃতিতে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, লেখক রেহনুমা আহমেদ, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক স্বাধীন সেনসহ ৪৮ জন স্বাক্ষর করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, গত ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচণ্ড বিদ্বেষ ও ঘৃণা উদ্রেককারী বক্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে। যার নির্মম শিকার হচ্ছেন আকাশের স্ত্রী চিকিৎসক তানজিলা হক চৌধুরী মিতু এবং তাঁর পরিবার। যা বিচারাধীন এই ঘটনাটিকে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ এর দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। আকাশের আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে পূর্বানুমানের ভিত্তিতে সমাজের গৎবাঁধা দৃষ্টিভঙ্গি আরোপ করে মিতুকে অভিযোগ করার ঘটনা ব্যাপক হারে ঘটছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সেই একই প্রবণতায় পরিচালিত হয়ে মামলা হওয়ার আগেই মিতুকে গ্রেপ্তার করে এবং পরে রিমান্ডে নিয়েছে, যা উদ্বেগজনক।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই- অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই আকাশের আত্মহননের দায় যেন কিছুতেই মিতুর কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে মিতুকে এবং তাঁর পরিবারকে লোকলজ্জা ও সামাজিক চাপের মধ্যে ফেলা না হয়। কেননা বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে অন্যায়ভাবে কাউকে দায়ী করে তাঁর কাঁধে দোষ চাপানো হলে সেটিও অবিচার হবে এবং সেখানেও লঙ্ঘিত হবে মানবাধিকার।