ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন তিনি!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়টির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে শহীদুল্লাহ্ কলা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন।

ছাত্রলীগের মতিহার হল শাখার সদস্য ও ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মানিক আহমেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। কয়েকবার চেষ্টা করেও অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মো. মানিক আহমেদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ওই ছাত্রীর ভাষ্যমতে, প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর পর থেকেই মানিক তাঁকে বারবার ফোন করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই হওয়ায় তিনি তাঁর সঙ্গে কয়েকবার কথা বলেছেন। একপর্যায়ে মানিক তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া শুরু করলে তিনি মুঠোফোনে তাঁর ফোন ধরা বন্ধ করে দেন। এরপরও মানিক বারবার ফোন করতেন।

ছাত্রীর অভিযোগ, মানিক মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোনে কল করে তাঁকে দেখা করতে বলেন। পাঁচটার দিকে ক্লাস শেষ হওয়ার পর বিভাগের সামনে তিনি (মানিক) জরুরি কথা আছে বলে তাঁকে শহীদুল্লাহ কলা ভবনের দক্ষিণের চত্বরে নিয়ে যান। সেখানে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হতে তাঁকে জোরাজুরি করেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করলে মানিক গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ওই ছাত্রী বলেন, ‘ওই ঘটনার পর থেকে আমি খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মানিক আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়েছেন। হয়তো আমার আর এখানে পড়াশোনা করা হবে না।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মানিকের মুঠোফোনে কল করার পর তিনি ধরলেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কেটে দেন। এরপর তাঁকে আর মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার সকালে তাঁকে নিজ বিভাগেও পাওয়া যায়নি।

ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মর্তুজা খালেদ বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের তথ্যানুসন্ধান করতে বলেছেন। আমরা নিজেরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমরা বিভাগের শিক্ষকেরা বুধবার (গতকাল) ওই ছাত্রী ও অভিযোগ ওঠা ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামীকাল (আজ) আবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। অভিযোগের মাত্রা গুরুতর হলে উপাচার্য তাঁকে অবহিত করতে বলেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষকদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’