কিশোরী ধর্ষণ মামলায় তরুণ কারাগারে

বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় কিশোরী ধর্ষণ মামলায় এক তরুণকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে মামলার পর আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে কারাগারের পাঠান।

তাঁর বেলাল হোসেন সরদার (২০)। ‘ভুক্তভোগী’ কিশোরী স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্তের ভাষ্য, তিনি ধর্ষণ করেননি। বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় আটকে রেখে ছিলেন।

ভুক্তভোগী কিশোরী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাবা-মা ঢাকায় কাজ করার কারণে ওই কিশোরী নানার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ওই তরুণ তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি তরুণের অভিভাবককে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর পাঁচ দিনের মাথায় গত সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরী পুকুরে গেলে তাকে পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত তরুণ। এ সময় ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে না বলতে বলা হয়।

পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় ওই কিশোরী বলে, বাড়ি ফিরে সে তার নানা-নানিকে বিষয়টি জানায়। এরপর ঢাকায় তার বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা ঢাকা থেকে আসার পর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

থানাহাজতে থাকা অবস্থায় জানতে চাইলে অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমি অনেকবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু পরিবার রাজি হয় নাই। তাই ওকে খালি ঘরে আটকে রেখেছি। ধর্ষণ করিনি।’

গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বুধবার রাতেই নিজ বাড়ি থেকে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান। পাশাপাশি আদালত জবানবন্দি শেষে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

অপরদিকে একই উপজেলায় একাদশ শ্রেণির এক কলেজছাত্রীকে (১৬) অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ সকালে অপহৃতার দাদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত ২৭ জানুয়ারি সকালে কলেজে যাওয়ার পথে তাঁর নাতনিকে অপহরণ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে গত ১৮ দিনেও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই তিনি জিডি করেছেন। গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান এই জিডির কথা নিশ্চিত করেছেন।