সেন্ট মার্টিন নিয়ে আবার মিয়ানমারের মিথ্যাচার, প্রতিবাদ

বঙ্গোপসাগরের প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। ফাইল ছবি।
বঙ্গোপসাগরের প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। ফাইল ছবি।

আবারও সেন্ট মার্টিনের মালিকানা দাবি করে সরকারি ওয়েবসাইটে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে মিয়ানমার। মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অং কিউকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর হাতে একটি কূটনৈতিকপত্র তুলে দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগ) দেলোয়ার হোসেন।

বঙ্গোপসাগরের প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রশাসনিকভাবে এই দ্বীপ কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন।

মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলবের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের কূটনীতিক তাঁর দেশের ভুল স্বীকার করেছেন। এ ধরনের মিথ্যাচার বাংলাদেশকে ক্ষুব্ধ করেছে, মিয়ানমারের কূটনীতিককে তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, এর আগে গত বছরের অক্টোবরে একই বিষয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছিল। তখন রাষ্ট্রদূত তাঁর দেশের মানচিত্র থেকে সেন্ট মার্টিনকে সরানোর বিষয়ে আশ্বস্ত করে যান। এরপর আবার নতুন করে একই মানচিত্রে সেন্ট মার্টিনকে মিয়ানমারের অংশ দেখানো হচ্ছে। এ বিষয়টি যে মিয়ানমার ঠিক করেনি, এটি অং কিউকে বলা হয়েছে। অবিলম্বে এটি পরিবর্তন করার বিষয়ে বাংলাদেশের দাবির বিষয়টি তাঁকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়টি তাঁর সরকারের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দিয়েছেন।

তলবের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অং কিউ। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যর্থনাকেন্দ্রে অপেক্ষার সময় তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কাছে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘সাংবাদিকেরা এখানে কেন? আমি তো রাষ্ট্রদূত নই। আমার ছবি তোলার তো কোনো মানেই হয় না। এদেরই-বা এখানে থাকার দরকার কী?’

এর আগে গত বছরের ৬ অক্টোবর একই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের দপ্তরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন ওকে তলব করা হয়। ওই সময় মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন, জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়সহ সে দেশের অন্তত তিনটি ওয়েবসাইটের মানচিত্রে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে দেখানো হয়।