মিউনিখে প্রধানমন্ত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনা

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিউনিখ শেরাটন হোটেলে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিউনিখ শেরাটন হোটেলে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম বিদেশ সফরে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী তাঁকে জার্মানির মিউনিখ শহরে নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছেন।

নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর একটার পর দক্ষিণ জার্মানির মিউনিখ শহরে এসে পৌঁছান। মিউনিখ বিমান বন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে মিউনিখের শেরাটন আরাবেলা হোটেলে যান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরাটন হোটেলের বলরুম মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিতে বুধবার থেকেই ইউরোপের নানা দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা মিউনিখে এসে পৌঁছান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই শেরাটন হোটেলের বলরুমে প্রায় পাঁচশ প্রবাসী জমায়েত হন।

মিউনিখ শেরাটন হোটেলে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বার্লিন প্রবাসী বাঙালিরা। ছবি: সংগৃহীত
মিউনিখ শেরাটন হোটেলে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বার্লিন প্রবাসী বাঙালিরা। ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং মধ্যআয়ের দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেন। জার্মানি তথা ইউরোপ প্রবাসী বাঙালিদের তিনি প্রবাসে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি অনীল দাশ গুপ্ত, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।

ইতিপূর্বে ২০১৭ সালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দিয়েছিলেন। এবারের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নিরাপত্তা হুমকি ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে দুটি সেশনে প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন।

শুক্রবার মিউনিখের ব্যাভেরিয়া হোফ হোটেলে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি ভলফগ্যাং ইসিঙ্গার জানিয়েছেন, ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি এবারের ৫৫তম সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ৪০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং ১০০ জন মন্ত্রীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।