হাওরে বাঁধের কাজে প্রতিমন্ত্রীর ক্ষোভ

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ দেখার পর কথা বলছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। ছবি: প্রথম আলো
সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ দেখার পর কথা বলছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ জানান তিনি। আজ শুক্রবার সকালে প্রতিমন্ত্রী সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরে বাঁধের কাজের কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে দেখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কাজে নীতিমালা মানা হচ্ছে না। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিগুলো (পিআইসি) গোঁজামিল দিচ্ছে। বাঁধে ঠিকমতো মাটি পড়ছে না। ঢাল, উচ্চতার ঠিক নেই।’

কাজ সঠিকভাবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো পিআইসিকে আর টাকা দেওয়া হবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘আমি চিন্তিত, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কতটুকু কাজ হবে এই নিয়ে। এ জন্য স্থানীয়ভাবে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের আরও সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কাজ ঠিকমতো হয়নি বলেই আমি বকাবকি করেছি। এটা আমি আমার জন্য করিনি, আমি এই এলাকার জনগণের জন্য করেছি। এই এলাকার ফসল যেন নষ্ট না হয়, এ জন্য বলেছি।’

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. নিজামুল হক ভুইয়া, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া ও পিআইসির লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

বাঁধের কাজের নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি পিআইসি হয় ৫ থেকে ৭ সদস্যের। একটি পিআইসি একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। বাঁধের নিকটবর্তী প্রকৃত জমির মালিক ও সুবিধাভোগীদের নিয়েই এসব কমিটি করার কথা। এতে একজন সভাপতি, একজন সদস্যসচিব এবং অন্যরা সদস্য থাকেন। একটি পিআইসি সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার কাজ করতে পারে।

এবার সুনামগঞ্জ জেলায় ৩৭টি হাওরের ফসল রক্ষায় বেড়িবাঁধ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ হবে। এ জন্য ৯৪ কোটি ৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাঁধের কাজ হচ্ছে ৫৫৩টি পিআইসির মাধ্যমে। কাজের শেষ সময় ২৮ ফেব্রুয়ারি।