মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনব্যাপী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে (এমএসসি-২০১৯) যোগ দিয়েছেন। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে বিশ্বের সাড়ে চার শ শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ও চিন্তাবিদ যোগ দিয়েছেন।

মানব নিরাপত্তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে সেখানকার হোটেল বায়েরিশের হফে এই সম্মেলন চলছে। এতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরক্ষানীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা তথা বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার মধ্যে সম্পর্ক খতিয়ে দেখা, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সম্মেলনে আরও অংশ নিচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আশরাফ ঘানি, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লস আইওহানিস, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম কংগ্রেসের সদস্য ইয়াং জিয়েচি।

ইউরোপ ও ন্যাটো জোট, রাশিয়া, ইরান, ইরাক, কাতার, পাকিস্তান এবং ফিলিস্তিনের ৪০ জনের বেশি পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এমএসসি ২০১৯-এর চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর উলফগ্যাঙ ইশিঙ্গার। জার্মানির ফেডারেল সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ভন ডিয়ার লেয়েন এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসন সূচনা বক্তব্য দেন।

পাঁচ দশক ধরে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নীতিসংক্রান্ত আলোচনায় বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফোরামে রূপ নিয়েছে। ‘বেস্ট থিংক ট্যাংক কনফারেন্স’ হিসেবে বিশ্বে বিবেচিত ‘এমএসসি’ সুরক্ষিত ও অনানুষ্ঠানিক পরিবেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

পাশাপাশি, এমএসসির বার্ষিক ‘ফ্ল্যাগশিপ’ সম্মেলনে নিয়মিতভাবেই সুনির্দিষ্ট বিষয় ও অঞ্চল নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয় এবং মিউনিখ সিকিউরিটি রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়। সম্মেলনের লক্ষ্য, জটিল নিরাপত্তা নীতিসংক্রান্ত বিষয়গুলোতে মুক্তভাবে মতামত, ধারণা ও সমাধান বিনিময়ের সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো সুযোগ দেওয়া।