কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাতলামারী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নাজমুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নাজমুল উপজেলার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা ইসমাইল হোসেন ওরফে পাঞ্জের হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।

নাজমুলের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি কামারপাড়া গ্রামে। বাবার নাম নজরুল ইসলাম। ইসমাইল হোসেন ওরফে পাঞ্জের জাসদ মিরপুর উপজেলা শাখার সাবেক সহসভাপতি। ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল সকালে নিজ বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তিনি।

পুলিশের ভাষ্য, রাত সোয়া দুইটার দিকে উপজেলার কাতলামারী এলাকার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে গাছ কেটে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর থানার টহল পুলিশ অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে নাজমুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন এবং বাকিরা পালিয়ে যান। নাজমুলকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের দাবি, তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, তিন রাউন্ড গুলি ও দুইটি রামদা উদ্ধার করেছে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নাজমুল ইসলাম জাসদ নেতা পাঞ্জের হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ওই মামলায় দুই মাস আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিরপুর ও দৌলতপুর থানায় অন্তত চারটি মামলা রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।