যশোরে আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

যশোরের চৌগাছা উপজেলার চারাবাড়ি গ্রামে আজ রোববার আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল বারিককে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের আঘাতে জখম হয়েছেন বারিকের ভাই আনিছুর রহমান (৩৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আবদুল বারিক চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। এ তথ্য জানিয়েছেন ফুলসারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আহত আনিছুরও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

বারিকের ভাই হয়রত আলীর ভাষ্য, আজ সকালে আবদুল বারিক বাড়ির পাশে নিজেদের পুকুরে মাছ ধরতে যান। এ সময় পাশের বাড়ির মো. নান্নুর সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নান্নুর পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বারিকের ওপর হামলা চালান। তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঠেকাতে গেলে বারিকের বড় ভাই আনিছুরকেও কোপানো হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাঁদের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক বারিককে মৃত ঘোষণা করেন। আর আনিছুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পরপরই নান্নুর নেতৃত্বে ১২-১৪ জন বারিকের বাড়িতে হামলা করে কয়েকটি ঘর ভাঙচুর করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, বারিক-আনিছুরদের বাড়ির সীমানায় নান্নু-ঠান্ডুদের বাড়ি। বাড়ির জায়গা-জমি নিয়ে ১০ বছর ধরে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। দুই পরিবারের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে বারিকেরা আওয়ামী লীগের এবং নান্নুরা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক দিন আগে নান্নুসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর থেকে বিরোধ আরও প্রকট হয়।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব বলেন, ‘জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে আবদুল বারিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দুই পরিবারের মধ্যে পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলাও রয়েছে।’ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে ওসি জানান।