আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নয়ছয়ের প্রমাণ দুদকের হাতে

দুদক
দুদক

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অর্ধেক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক কোম্পানি লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতের তথ্যপ্রমাণ এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তথ্যপ্রমাণ পেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি।

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ ও মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ কোটি টাকা ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেছেন।

কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি-ইঞ্জিনে ব্যবহারের জন্য তেল আমদানি, প্রক্রিয়াজাত ও বিক্রি করে। এর অর্ধেক মালিক সরকার। মহাব্যবস্থাপক সেখানে সরকারের প্রতিনিধি কর্মকর্তা। বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানিটির বাকি অর্ধেকের মালিক দুই ভাই। এক ভাই মঈন উদ্দিন আহমেদ ২০১৪ সালের আগস্টে মঈন পিরামিড এক্সিম লিমিটেড নামে প্রাইভেট লিমিডেট কোম্পানি খোলেন। আর ২০১৫ সালে খোলা গুডউইন পাওয়ার লিমিটেড কোম্পানির একজন পরিচালক হলেন মোহাম্মদ শাহেদ।


দুদক জানিয়েছে, এই দুজনের বিরুদ্ধে কোম্পানির অর্থ নিজেদের হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগ পেয়ে গত ২৮ জানুয়ারি উপপরিচালক এস এম সাহিদুর রহমান ও মোহাম্মাদ মাহমুদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট দল কয়েকটি ব্যাংকে অভিযান চালায়। অভিযানে সাউথইস্ট ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংকে অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধানে কোম্পানির পরিচালক মঈন ও তাঁর স্ত্রীর পিরামিড এক্সিম লিমিটেডের নামে গত তিন বছরে বিভিন্ন ব্যাংকে ৪৩ কোটি টাকারও বেশি এবং মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহেদের গুডউইন কোম্পানি নামে গত তিন বছরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা জমা ও উত্তোলনের প্রাথমিক প্রমাণ পায়।

অর্থ স্থানান্তর ও উত্তোলনের তথ্যপ্রমাণ পেয়ে ওই দুজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে দুদক। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে আরও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিগগিরই তাঁদের দুদকে তলব করা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রধান ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ কোনোভাবেই ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তরের সুযোগ নেই। এ দুর্নীতির অনুসন্ধান শেষে দুদক আইনি ব্যবস্থা নেবে। পুরো অনুসন্ধান প্রক্রিয়া কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।’