ইয়াবা ব্যবসায়ীদের প্রাসাদসম বাড়িতে তালা

ইয়াবা। ফাইল ছবি
ইয়াবা। ফাইল ছবি

আত্মসমর্পণ করা ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়িঘর ফাঁকা। পরিবারের লোকজন অনেক আগেই এসব বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। কিছু বাড়ি গৃহকর্মীরা দেখাশোনা করলেও প্রাসাদসম বেশির ভাগ বাড়িতেই তালা ঝুলছে।

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁরা এখন সম্পদ রক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁদের আশঙ্কা, এসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। দুদক, এনবিআর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের সম্পদের ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেছেন।

গত শনিবার টেকনাফ পাইলট স্কুল মাঠে পুলিশের এক সমাবেশে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা ও ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তালিকাভুক্ত ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাঁরা এখন কক্সবাজার কারাগারে।

সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির ছোট ভাই আবদুল শুক্কুরের বাড়ি টেকনাফ পৌরসভার আউলিয়াবাদ গ্রামে। কয়েক মাস বিদেশে থাকার পর শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে ইয়াবা ও অস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। গতকাল রোববার শুক্কুরের প্রাসাদসম বাড়ির গেটে তালা দেখা যায়। অনেক ডাকাডাকির পর এক নারী এসে জানান, শুক্কুর কারাগার থেকে কিছুদিনের মধ্যে ফিরে আসবেন। পাশের আরেক বাড়ি মালিক শুক্কুরের বড় ভাই আবদুল আমিন। তিনিও আত্মসমর্পণ করেছেন। এক কর্মচারী তাঁর বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন।

টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশনের কাছে রমজান আলীর পাঁচতলা বাড়ি। বাসায় গিয়ে রমজানকে পাওয়া গেল না। বাসার ভাড়াটেরা বললেন, তিনি কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম শহরে থাকেন। রমজান আলী প্রথম ইয়াবা নিয়ে আসেন বলে প্রচলিত আছে। ২০০৩ সালের দিকে রমজান ছিলেন টেকনাফে খুচরা সিগারেট বিক্রেতা। এখন তিনি শতকোটি টাকার মালিক।

সদরের নাজিরপাড়ার জিয়াউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কেউ নেই। বাড়ির সামনের অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, গত ডিসেম্বরে বন্দুকযুদ্ধে জিয়াউর রহমান নিহত হন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সম্প্রতি পুলিশের নেতৃত্বে গঠিত মাদক নির্মূল কমিটি ৩৭০ জন ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ীর নতুন তালিকা করেছে। এসব ব্যবসায়ীর শতাধিক বিলাসবহুল বাড়ি শনাক্ত করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।