ধর্ষণ মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক তাউফিক উস সামাদ তন্ময়কে (৩১) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে আসামি তাউফিককে গ্রেপ্তার করে ঢাকার আদালতে হাজির করে তাঁকে জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করে মুগদা থানা-পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী তাউফিকের জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ব্যাংকে কর্মরত একজন নারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ১২ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক কর্মকর্তা তাউফিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের নালিশি মামলা করেন। আদালত ওই নারীর মামলা এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঘটনার তদন্ত করতে মুগদা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুগদা থানার পরিদর্শক মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তা মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা তাউফিককে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলায় ওই নারী দাবি করেছেন, পরিচয় হওয়ার পর তাউফিক তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। গত ১২ জানুয়ারি রাতে আসামি তাউফিক তাঁর বাসায় যান। সেদিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে আসামিকে বিয়ের কথা বললে টালবাহানা শুরু করেন। ওই নারী মামলায় দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে আসামি যেন কাউকে এভাবে প্রতারণা করে ধর্ষণ করতে না পারে, সে জন্য তিনি মামলা করলেন। 

আদালতকে লিখিত প্রতিবেদন দিয়ে মুগদা থানা বলেছে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে আসামি তাউফিক বাদীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। বাদীকে বিয়ে করতেও আসামি টালবাহানা করেছেন। বিয়ে করবেন না বলে বাদীকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আসামি তাউফিক।
তবে আসামি তাউফিকের আইনজীবী জামিন আবেদনে বলেছেন, এটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। এ ঘটনার সঙ্গে আসামি তাউফিক কোনোভাবে জড়িত নন।