সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ কারাগারে

মাসুদ সাঈদীকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: এ কে এম ফয়সাল
মাসুদ সাঈদীকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: এ কে এম ফয়সাল

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় মাসুদ সাঈদী জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মাসুদ সাঈদীর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক।

মাসুদ সাইদী মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছোট ছেলে। তিনি ২০১৪ সালে পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর বড় ভাই শামীম সাঈদী। তিনি পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাতে ইন্দুরকানি উপজেলার সাঈদখালী গ্রামের অহিদুজ্জমান খানের বাড়িতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা গোপন বৈঠক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ অহিদুজ্জামানের বাড়িতে অভিযান চালায়। আসামিরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ মো. ওবায়দুল্লাহ ও মো. জাকির হোসেন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। অহিদুজ্জামান ও জাকির হোসেনের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে চারটি ককটেল ও পাঁচটি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মাসুদ সাঈদী গোপন বৈঠক করছিলেন।

এ ঘটনায় ইন্দুরকানি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অহিদুজ্জামান ফকির বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় মাসুদ সাঈদীকে প্রধান আসামি করা হয়।

গত ৮ জানুয়ারি মাসুদ সাঈদী হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। মেয়াদ শেষ হলে গত সোমবার তিনি পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আজ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মাসুদ সাঈদীর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। পরে আদেশ দেন আদালত।

আদালতে শুনানিতে অংশ নেওয়ার আগে মাসুদ সাঈদী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, মামলাটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, গায়েবি। নির্বাচনের সময় হয়রানি করতেই মামলাটি দেওয়া হয়।

পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন বলেন, মাসুদ সাঈদীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মাসুদ সাঈদীর আইনজীবী খায়রুল বাশার বলেন, জামিনের জন্য তাঁরা হাইকোর্টে যাবেন।