হাওরে বাঁধের কাজে গাফিলতি, আটক ৭

প্রথম আলো ফাইল ছবি।
প্রথম আলো ফাইল ছবি।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজে গাফিলতির অভিযোগে তিন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসির) সভাপতি, সদস্যসচিবসহ ৭ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। উপজেলার মাটিয়ান হাওরের বাঁধের কাজে যুক্ত ছিলেন এসব ব্যক্তি। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের আটক করা হয়।
প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে উপজেলার মাটিয়ান হাওরে বাঁধের কাজ পরিদর্শনে যান ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ সময় বাঁধের কাজে ধীরগতি ও গাফিলতি দেখে তাঁদের আটক করেন। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন ৪৭ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান, ওই প্রকল্পের সদস্যসচিব একই গ্রামের জামাল আখঞ্জি, সদস্য মজনু শাহ ও তফাজ্জুল মিয়া। ৪৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের সিরাজুল হক শাহ ও প্রকল্পের সদস্য রতনশ্রী গ্রামের হুমায়ুন কবীর। ৩৮ নম্বর প্রকল্পের সদস্যসচিব রতনশ্রী গ্রামের মুনশাদ মিয়া।
তাহিরপুর উপজেলার দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী মো. ইমরান হোসেন জানান, এসব ব্যক্তিকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও তাঁরা কাজে গাফিলতি করছেন। এই তিনটি পিআইসির মধ্যে দুটির কাজ ১৫ শতাংশ এবং একটির ৩৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। অথচ কাজ শেষ করতে হবে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। কাজে গাফিলতির অভিযোগেই তাঁদের আটক করা হয়েছে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন,‘আটক সাতজন থানা হাজতে আছেন। ইউএনও সাহেব এখনো হাওরে আছেন। তিনি ফিরে আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাঁধের কাজে ধীরগতি ও গাফিলতির কারণেই তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
হাওরে বাঁধের কাজের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি পিআইসি গঠন হয় ৫ থেকে ৭ সদস্যের। একটি পিআইসি একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। বাঁধের নিকটবর্তী প্রকৃত জমির মালিক ও সুবিধাভোগীদের নিয়েই এসব কমিটি করার কথা। এতে একজন সভাপতি, একজন সদস্যসচিব এবং অন্যরা সদস্য থাকেন। একটি পিআইসি সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার কাজ করতে পারে।
এবার সুনামগঞ্জ জেলায় ৩৭টি হাওরের ফসল রক্ষায় বেড়িবাঁধ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ হবে। এ জন্য ৯৪ কোটি ৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাঁধের কাজ হচ্ছে ৫৫৩টি পিআইসির মাধ্যমে। কাজের শেষ সময় ২৮ ফেব্রুয়ারি।